Midday Meal: মিড-ডে মিলের পরিবর্তে চাল ও আলু তুলে দেওয়া হবে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে
হাইলাইটস
- মিড-ডে মিল বিলির সময় পড়ুয়াদের স্কুলে আসা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিল সরকার
- পড়ুয়াদের নয়, অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৩ কেজি চাল ও আলু
- করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে আপাতত ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে
কলকাতা: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউন চলায় বন্ধ রাজ্যের (West Bengal) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু যে সব স্কুলে মিড-ডে মিল (Midday Meal) দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে যাতে খাবার সংগ্রহ করতে ছোট-ছোট পড়ুয়ারা চলে না আসে তার জন্যে ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। পড়ুয়ারা নয়, এবার মিড-ডে মিলের পরিবর্তে চাল ও আলু তুলে দেওয়া হবে তাঁদের অভিভাবকদের হাতে। আপাতত পড়ুয়া-পিছু ৩ কেজি করে চাল ও আলু বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও অবলম্বন করা হচ্ছে যথেষ্ট স্বাস্থ্য সতর্কতা। জানা গেছে, কবে-কখন ওই চাল ও আলু তুলে দেওয়া হবে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের আধিকারিকরা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ এবং এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। এই ব্যবস্থা চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
তবে মিড-ডে মিলের পরিবর্তে ওই চাল-আলু বিতরণের সময় কোনওভাবেই পড়ুয়ারা তাঁদের অভিভাবকের সঙ্গে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে না। আর অভিভাবকদেরও অবশ্যই মাস্ক পরে বিদ্যালয়ে ওই সামগ্রী সংগ্রহে আসতে হবে। বিভিন্ন জোনের জেলা স্কুল পরিদর্শকরা বিদ্যালয়ের প্রশাসনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে এবং বিতরণের সময় অন্যান্য সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।
লকডাউনে ঘরে চাল বাড়ন্ত, পেটের জ্বালা মেটাতে বিষাক্ত গোখরো শিকার করে রান্না!
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় বিদ্যালয় চত্বরে অযথা ভিড় এড়াতে আলাদা আলাদা করে ১০ দিন ধরে সেগুলো বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। চাল ও আলু সংগ্রহে শুধুমাত্র অভিভাবকরাই যাতে নির্দিষ্ট দিনে স্কুলে আসেন, সে জন্য এলাকায় এলাকায় মাইক প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন।
এর আগে ২৩ মার্চ, মিড ডে মিলের পরিবর্তে দেওয়া ৩ কেজি চাল এবং ৩ কেজি আলু তুলে দেওয়ার হয় অভিভাবরদের হাতে। সেই সময় দেখা যায় কয়েকজন অভিভাবক তাঁদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়েই ওই খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে বিদ্যালয় চত্বরে এসেছিলেন।
করোনা লকডাউনের নিয়মগুলোকে "হাল্কা" করে দেবেন না, রাজ্যগুলোকে বলল কেন্দ্র
পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে যে শুধু রাজ্যের বিদ্যালয়গুলোই নয়, করোনা সংক্রমণের (COVID- 19) সম্ভাবনা এড়াতে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও বন্ধ থাকবে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোও। নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।