পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা কর্মীরা বাড়ির পেছনে উদ্ধার হলো বোমা ভর্তি বালতি
হাইলাইটস
- নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়
- পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি এবং সিপিআইএম এর তরফ থেকে বলা হচ্ছে এটি একটি সাজানো ঘটনা
- এই ঘটনায় আরাবুলকে গ্রেফতারের আদেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
ভাঙড়, পশ্চিমবঙ্গ:
কলকাতা থেকে মাত্র 25 কিলোমিটার দূরে ভাঙড়ে প্রায় একশো বোমা উদ্ধার করা হলো তৃণমূল নেতা কর্মী আরাবুল ইসলামের বাড়ির পিছন থেকে। তাকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় এক নির্দল প্রার্থী সমর্থক কে খুনের অভিযোগে।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন হাফিজুল মোল্লা যাকে কয়েকজন একেবারে সামনে থেকে গুলি করে। মুখে গুলি লাগে তার এবং সেখানেই মারা যান তিনি। এই ঘটনায় আরাবুলকে গ্রেফতারের আদেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
যখন পুলিশ আরাবুলের বাড়ির পিছনে তল্লাশি চালাচ্ছিল তখন একটি গভীর গর্তের থেকে প্রচুর কাঁচা বোমা উদ্ধার করে।
বিরোধীরা অবশ্য এই পুরো ঘটনাটিকে সাজানো বলে মনে করছেন। "আরাবুলকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে এটাই দেখতে চান যে তিনি রাজধর্ম পালন করছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই আরাবুল ছাড়া পেয়ে যাবেন" বললেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ এটিকে মিথ্যে ঘটনা বলেছেন। এছাড়া সিপিএম-এর এস কে মিশ্রর মতে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন ছাড়া কিছুই ঘটে না সুতরাং নির্দল প্রার্থীর সমর্থকের খুনের ঘটনাও তার অজানা নয়।
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সমস্যায় কারণে তাকে দল থেকে 2013 সালে 6 বছরের জন্য সাসপেন্ডও করা হয় কিন্তু তিনি দেড় বছরের মধ্যেই আবার দলে ফিরে আসেন।
শনিবার তাকে কোর্টে হাজির করা হলে তৃণমূলের বীর নেতা জানান যে তিনি এই ঘটনার সময় ভাঙড়ে ছিলেন না। তার উকিলও কোর্টকে জানিয়েছেন যে আরাবুল ঘটনার বহু পরে সন্ধ্যে 6 টার সময় ভাঙড়ে ফিরে আসেন।
এই ঘটনার জেরে ভাঙড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার পরেই ভাঙড়ে একটি বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য জমি দখলের প্রতিবাদে সশস্ত্র আন্দোল শুরু হয়। এই আন্দোলন চলছিল 2017 সাল থেকে। একটি অতি বাম দলের নেতৃত্বে মানুষ এই প্রতিবাদ আন্দোলনে যোগদান করেছে বলে জানা গেছে।