একদিন এগিয়ে উদ্বোধন, সৌজন্যে সরস্বতী (নিজস্ব চিত্র)
হাইলাইটস
- ২৮-এর বদলে ২৯ জানুয়ারি উদ্বোধন বইমেলার
- থিম কান্ট্রি রাশিয়া
- জানিয়েছে গিল্ড কর্তৃপক্ষ
কলকাতা: সৌজন্যে সরস্বতী পুজো। সাম্প্রতিক সাংবাদিক বৈঠকে গিল্ডের তরফে জানানো হয়েছি, ২৯ জানুয়ারি বিকেল চারটেয় বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে উদ্বোধন হবে 44th International Kolkata Book Fair-এর। উদ্বোধন করবেন মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের বিশিষ্ট মন্ত্রীরা। থিম কান্ট্রি রাশিয়া হওয়ায় উপস্থিত থাকবেন ভারতের রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত কুদাসেভ নিকোলায় রিশাটোভিক, ভ্লাদিমীর গ্রিগরিয়েভ, সাহিত্যিক ইউগেন ভোদোলাজকিন। কিন্তু ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো পড়ায় একদিন আগে অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি সন্ধেয় ছ'টায় বাগদেবীর আরাধনায় রত হবে কলকাতা। সঙ্গী Publishers And Book Sellers Guild আর তিলোত্তমার লাখো বইপোকা। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা করে গিল্ড।
৬০০টি স্টল আর ২০০ টি লিটল ম্যাগাজিন থাকবে এবারের বইমেলায়। ৯টি তোরণ করা হবে নির্বিঘ্নে ঢোকা বেরোনোর জন্য। থিম গেট রাশিয়ার রাশিয়ার বিখ্যাত বলশয় থিয়েটারেের আদলে তৈরি হবে। মেলায় দুটি হল থাকবে নবনীতা দেবসেন আর গিরিশ কার্নাডের নামে। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন হবে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নামে। থাকবে শুভা দত্ত মিডিয়া কর্নার। অদ্রীশ বর্ধনের নামে থাকবে মুক্তমঞ্চ। সাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত বাস পরিশেবা চালু করবে বপ্রতিবছরের মতোই। থাকবে বিশেষ অটো ব্যবস্থা। গাড়ি পার্কিয়ের পাশাপাশি থাকবে সাইকেল পার্কিং লট। মেলাকে পরিবেশ বান্ধব করতে এগিয়ে এসেছে নগর উন্নয়ন দফতর।
প্রতিবারের মতোই থাকবে মেডিকেল সহায়তা কেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, বইমেলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ও ওয়েবসাইট। এবছর সরাসরি ও যৌথভাবে অংশ নিচ্ছে ২০টি দেশ। বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আসবেন ৪০ জন সেদেশের প্রকাশক। প্রতিদিন সিইএসসি সেন্টারে লটারির মাধ্যমে ১৫ জন ভাগ্য বিজেতা বইমেলা থেকে হাজার টাকার বই কেনার কুপন। এবারেও থাকবে লাইব্রেরি জেতার সুযোগ। পাাশাপাশি বৃদ্ধাশ্রমে বইদানের পরিকল্পনা করেছে মেলা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, উদ্বোধন মঞ্চ থেকে সিইএসসি সাহিত্য সম্মান ২০২০ সম্মানে সম্মানিত করা হবে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িকে।