This Article is From May 07, 2020

পরিযায়ী নাগরিকরা ঘরে ফিরছেন! ইউপি, ওড়িশা, বাংলাকে টেস্টিং বাড়ানোর পরামর্শ

এমনই ২০টি সংক্রমণ সম্প্রতি ওড়িশাতে ধরা পড়েছে। যেখানে সংক্রমিতরা সম্প্রতি সুরাত থেকে সে রাজ্যে ফিরেছেন। এঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক

পরিযায়ী নাগরিকরা ঘরে ফিরছেন! ইউপি, ওড়িশা, বাংলাকে টেস্টিং বাড়ানোর পরামর্শ

পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফেরায় বাড়তে পারে সংক্রমণ। এমনটাই সন্দেহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।

নয়া দিল্লি:

আগামী দিনে করোনা হটস্পট হসিএবে উঠে আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা আর উত্তরপ্রদেশ (Corona hotspot)। এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Health Ministry। গত সপ্তাহে পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Labours) ঘরে ফেরায় বাড়তে পারে সংক্রমণ মাত্রা। যেহেতু এই ৩ রাজ্যে (UP, Odisha, bengal) নমুনা পরীক্ষার বহর কম, তাই একধাক্কায় অনেকটা বাড়তে পারে সংক্রমণ মাত্রা। বৃহস্পতিবার টেলি-কনফারেন্সে এই ৩ টি রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের। তিনি মুখ্যসচিবদের নমুনা পরীক্ষার বহর বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। মন্ত্রকের সাম্প্রতিক গাইডলাইনে উল্লেখ, "উপসর্গ ছাড়া যারা বিশেষ ট্রেনে স্বরাজ্যে ফিরছে, তাঁদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইন বাধ্যতামুলক। এই সময়ের মধ্যে বাড়াতে হবে নমুনা পরীক্ষার মাত্রা।" জানা গিয়েছে, এখন সংক্রমিত অনেকেই উপসর্গহীন।

প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্যে ২১ সংস্থাকে অনুমোদন দিল আইসিএমআর

 এমনই ২০টি সংক্রমণ সম্প্রতি ওড়িশাতে ধরা পড়েছে। যেখানে সংক্রমিতরা সম্প্রতি সুরাত থেকে সে রাজ্যে ফিরেছেন। এঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। ৩টি সংক্রমণ ময়ূরভঞ্জ জেলার আর ১৭টি গঞ্জামের। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের পর গুজরাত দ্বিতীয় রাজ্যে, যেখানে সংক্রমণের হার উদ্বেগের কারণ। যদিও, ওড়িশাতে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ জন, মৃত ২।

এদিকে, কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ পর্যবেক্ষণে বাংলা। রাজ্য থেকে উঠেছে লকডাউন বিধি ভঙ্গ ও পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষা না করার অভিযোগ। সেই মর্মে নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে, কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল-সহ স্বরাষ্ট্র সচিব।অপরদিকে, লকডাউন জারি সত্ত্বেও নাগাড়ে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড- ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৫৬১ জন।

সারা দেশের হিসাবে, সব মিলিয়ে মোট করোনা রোগী ৫২,৯০০ জন, এঁদের মধ্যে থেকে ১,৭৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৯ জন। জানুয়ারি মাস থেকেই এদেশে প্রথম ওই মারণ রোগের সংক্রমণ শুরু হয়। তারপরেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওই রাক্ষুসে ভাইরাসটি। এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন জারি করা হয়েছে সারা দেশে। দু'বার বাড়ানোও হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ। আপাতত ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে দেশে। কিন্তু তারপরেই রেহাই মিলছে না এই রোগের হাত থেকে।

.