This Article is From Mar 13, 2020

"যাবজ্জীবন সাজা" কাটিয়ে ঘরে ফেরার তাড়া! সাতসমুদ্র পাড়ি দিয়ে নেটিজেনের মন জিতল কাছিম

বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ঘরের খোঁজে সাত সমুদ্র পাড়ি। আর সেই প্রচেষ্টাকে এখন কুর্নিশ জানাচ্ছে নেট দুনিয়া।

অসাধারণ এই ভিডিওটি সোশাল সাইটে পোস্ট করেছেন এক বন আধিকারিক।

হাইলাইটস

  • ৩৭ হাজার কিমি সাঁতরে নজির গড়ল এক কাছিম
  • তার পুরো যাত্রাপথ স্যাটেলাইট ক্যামেরাতে পর্যবেক্ষণ করেম জীব বিজ্ঞানীরা
  • প্রায় ২০ বছর বন্দি ছিল ওই কাছিম
নয়া দিল্লি:

বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ঘরের খোঁজে সাত সমুদ্র পাড়ি। আর সেই প্রচেষ্টাকে এখন কুর্নিশ জানাচ্ছে নেট দুনিয়া। তবে এই নজির কোনও মানুষের না, বরং ১৮০ কেজির কচ্ছপ যোশির (A Turtle)। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর বন্দি ছিল যোশি। "যাবজ্জীবন" সাজা কাটিয়ে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে সমুদ্রে পাড়ি দেয় সে (Sailed 37,000 KM) ।সাঁতরে পার করে প্রায় ৩৭ হাজার কিলোমিটার। এভাবেই মহাসমুদ্র পেরিয়ে আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া (From Africa to Australia) পৌঁছয় ওই কাছিম। যোশির এই গল্প উল্লেখ করে একটা ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন বন আধিকারিক প্রবীণ কাশওয়ান (An IFS Officer)। সেই পোস্টে প্রবীণ আরও লিখেছেন, "দেখুন মানুষের মতো অন্য জীবদেরও বাড়ি ফেরার কী তাড়া থাকে। আর সে জন্যই আমাদের সকলের বাসস্থান সংরক্ষণ করে রাখ উচিত। বিশেষ করে যারা অবলা তাদের।"

অন্য একটি পোস্টে সেই কাছিমের এই জল সফর প্রসঙ্গে ওই আধিকারিক লেখেন, "প্রায় ২০ বছর বন্দিদশা কাটিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল যোশি। কাছিম প্রশিক্ষকরা তাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। তারপর পায়ে উপগ্রহ লাগিয়ে জলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আর গবেষকরা মনিটরে পর্যবেক্ষণ করছিল তার যাত্রা। দেখা গিয়েছে, যেখান থেকে তাকে বন্দি করা হয়েছিল, পথ চিনে সেখানেই ফিরে গিয়েছে সে।"


অতুলনীয় এই ভিডিও দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। বাহ! কী করে গোটা যাত্রাটা পর্যবেক্ষণ হল? লিখেছেন এক নেটিজেন। আর একজন লিখেছেন, ধীর এবং স্থির, এরাই দৌড়ে যেতে। আর একজন রীতিমতো হিসেব করে বলেন, "দিনে প্রায় ৫১কিমি সাঁতরেছে ওই কাছিম।" পরিবেশপ্রেমী এক নেটিজেন লিখেছেন, সমুদ্র সংস্কারে আমাদের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত। এই ধরণের সামুদ্রিক জীব তাহলেই সংরক্ষিত করা সম্ভব হবে।পর্যটন-প্রিয় এক নেটিজেন লেখেন, "যতটা সম্ভব ঘুরে বেরাও। জীবন মানে এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকা নয়। জীবন মানে উপভোগ করা। তাই একজীবনে যতটা সম্ভব ঘুরে নাও।"



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.