ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় লাগাতার সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- ফের ভারতের নিশানায় পাকিস্তান
- রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নাম না করে পাকিস্তানকে বিঁধলো ভারত
- দাউদ সহ অন্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ডাক
আমেরিকা: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) এবার দাউদ ইস্যুতে নাম না করে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হলো ভারত (India at UN)। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকে জানিয়েছে যে ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim) এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের জঙ্গিতালিকাভুক্ত অন্য সন্ত্রাসবাদীদেরও নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে একটি প্রতিবেশী দেশ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের নাম না নিয়েও আকারে ইঙ্গিতে ওই দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষা করার সবরকম চেষ্টাও করে যাওয়ারও অভিযোগ তোলে ভারত। এদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া কুখ্যাত অপরাধী দাউদ এবং লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ -এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে দমাতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে ভারত। "সন্ত্রাসবাদ ও সংগঠিত অপরাধ দমনে এগিয়ে আসুন" শীর্ষক বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক উচ্চ-স্তরের আলাপ-আলোচনায় ভারত আরও একবার কাঠগড়ায় তোলে পাকিস্তানকে।
এক বিবৃতিতে ভারত বলেছে, "ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস সমস্যায় ভুগছে, যাকে রীতিমতো মদত দেওয়া হচ্ছে। আমরা দু'দেশের মধ্যে সংগঠিত অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের সম্পর্কের ফলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।" এর আগেও ভারত বারবার অভিযোগ করেছিল যে দাউদের মতো কুখ্যাত অপরাধী পাকিস্তানের ছত্রছায়ায় নিশ্চিন্তে বাস করছে। ডি-কোম্পানির বিরুদ্ধে শুধু সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপই নয়, সোনা ও নকল নোট পাচারের মতো অপরাধ করারও অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৩ সালে যখন মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় তারপরই জানা যায় ওই ভয়ঙ্কর নাশকতার পিছনেও রয়েছে দাউদেরই কালো হাত। ওই বিস্ফোরণে, আড়াইশোরও বেশি নিরীহ মানুষ মারা যান এবং লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়।
এক বিবৃতিতে নির্দিষ্ট করে কোনও দেশের নাম উল্লেখ না করেও বলা হয় যে মুম্বই বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনাকারী "প্রতিবেশী একটি দেশের পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, এই দেশটিই আসলে অস্ত্র পাচার, মাদকের ব্যবসা এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত জঙ্গিদের আস্তানা।"
ইসলামিক স্টেটের মতো কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাফল্য পাওয়া গেছে। সেই উদাহরণ তুলে ধরে ভারত বলেছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো মিলিতভাবে এই জাতীয় সন্ত্রাসদমন পদক্ষেপে সফল হয়েছে। বিবৃতিতে ভারত এই দাবিও করে যে দাউদ ও তার ডি-কোম্পানি, লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে এই জাতীয় সন্ত্রাসদমনমূলক পদক্ষেপ নিলে উপকৃত হবে মানবতা।