This Article is From Jun 17, 2020

"ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা চাই", শহিদ রাজেশ ওঁরাওয়ের পরিবারের দাবি

১৬ বিহার রেজিমেন্টের এই সিপাইয়ের মৃত্যুর খবর মঙ্গলবার এসে পৌঁছয় বীরভূমের গ্রামের বাড়িতে। তারপর থেকেই শয্যাশায়ী রাজেশের বাবা সুভাষ ওঁরাও

লাদাখ সংঘাতে শহিদ হয়েছেন বীরভূমের রাজেশ ওঁরাও।

কলকাতা:

আমরা চাই ভাইয়ের মৃত্যুর বদলা নিক ভারত। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে এমন কথা বলেন শহিদ রাজেশ ওঁরাওয়ের পরিবার। গালোয়ান সংঘাতে সোমবার শহিদ ২০ জওয়ানদের মধ্যে অন্যতম সিপাই রাজেশ। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের এই সিপাইয়ের মৃত্যুর খবর মঙ্গলবার এসে পৌঁছয় বীরভূমের গ্রামের বাড়িতে। তারপর থেকেই শয্যাশায়ী রাজেশের বাবা সুভাষ ওঁরাও। জানা গিয়েছে, জেলার বেলঘরিয়া গ্রামের এই কৃষক পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন রাজেশ। পাঁচ বছর আগে লাদাখে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। পরিবারের তাঁর বাবা ছাড়াও দুই বোন রয়েছেন। শহিদের তুতো দাদা অভিজিৎ ওঁরাও বলেছেন, " আমরা ভাইয়ের জন্য গর্বিত। চাই ভারত, চিনকে যোগ্য জবাব দিক। এই মৃত্যুর বদলা নিক।" পরিবার সূত্রে খবর, দু'দিন আগে ফোন করে এক বোনকে রাজেশ জানিয়েছিল, ওরা আরও উঁচুতে উঠছে। সেখানে নেটওয়ার্ক থাকবে না। তাই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না।
জানা গিয়েছে, আট মাস আগে শেষবার গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন রাজেশ। সেই সময় তাঁর বিয়ের তদ্বির শুরু করে পরিবার। সেবার কথা দিয়েছিল গত মে মাসে আবার আসবেন তিনি। কিন্তু সে বার লকডাউন চলায় বাতিল হয়ে গিয়েছিল সেই সফর।

লাদাখে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের জীবন বৃথা যাবে না। অবশেষে মুখে খুলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চিনকে কড়া বার্তা পাঠাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্ররোচনা দিলে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে ভারত।" তিনি জানিয়েছেন, দেশ শহিদ জওয়ানদের প্রতি গর্বিত। চিনের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা।" এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকের আগে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দু'মিনিট নীরবতা পালন করা সয়। এমনটাই পিএমও সূত্রে খবর। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি আশ্বাস দিতে চাই শহিদদের জীবন বৃথা যাবে না। সার্বভৌমত্ব আর একতা এখন আমাদের প্রাধান্য।" ইতিমধ্যে ১৯ জুন বিকেল পাঁচটায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। লাদাখ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সেই বৈঠক হবে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান সেই বৈঠকে অংশ নেবেন।

সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়। ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে প্রথমে একজন কর্নেল ও দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং "উভয় পক্ষেই বেশ কিছু সেনা হতাহত" হয়েছে একথা বলা হয়। পরে আবার নতুন এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, আশঙ্কাজনক আরও ১৭ জনেরও মৃত্যু হয়েছে।

.