தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Jul 08, 2020

গালোয়ান উপত্যকা থেকে ২ কিলোমিটার সরে গেল চিনা সেনা, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

মাক্সার এর থেকে NDTV এর গালোয়ানের দুটি চিত্রে এলাকার পরিবর্তনের চিত্র পরিষ্কার ধরা পড়েছে, তাদের ছবিই সবচেয়ে স্পষ্ট

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

মাক্সারের উপগ্রহ চিত্রে গালোয়ানে চিনা সেনার অবস্থান বদলের ছবি দেখা গিয়েছে

নয়াদিল্লি:

লাদাখ ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করেছে চিন, গালোয়ান নদী উপত্যকা (Galwan Valley) থেকে ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে লালফৌজ, আর সেই ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। রবিবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই র সঙ্গে একটি বৈঠক হয়, তারপরেই ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করে চিন। এবার লাদাখের (Ladakh) তিনটি জায়গা, গালোয়ান উপত্যকা, হট স্প্রিং  এবং গোগরা থেকে বাফার জোন বাদ দিয়ে ২ কিলোমিটার করে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে ভারত ও চিনা সেনা। সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার তাদের অংশের সীমানায় রয়েছে চিনা সেনা।.

২৮ জুন মাক্সার থেকে পাওয়া ছবিতে ওই এলাকায় নির্মাণ দেখা গিয়েছিল

গালোয়ান উপত্যকার একাধিক ছবি মাক্সার থেকে NDTV এর হাতে এসেছে, সেখানে অবস্থান স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে।

৬ জুলাই পাওয়া উপগ্রহ চিত্রে নির্মাণ সরিয়ে ফেলতে দেখা গিয়েছে

এর আগে ২৮ জুন পাওয়া ছবিতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার উভয়দিকেই চিনের নির্মাণের ছবি দেখা গিয়েছে। ছবিতে চিনের সম্ভাব্য প্রতিরক্ষাগতভাবে অবস্থান দেখা গিয়েছে ওই স্থানে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নির্মাণ দেখা গিয়েছে যা সেনাবাহিনীর আশ্রয়স্থল হতে পারে।

দূর থেকে তোলা উপগ্রহ চিত্রে এলাকায় চিনা নির্মাণের ছবি ধরা পড়েছে

ছবিতে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, ভারতীয় ভুখণ্ডে ৪২৩ মিটার ঢুকে পড়েছে চিনা সেনা, যা ১৯৬০ সাল থেকে দাবি করে আসছে বেজিং।

দূর থেকে তোলা উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে চিনা নির্মাণ

সোমবার পাওয়া একই জায়গার ছবিতে, দেখা গিয়েছে, নির্মাণগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং জায়গাটি পরিষ্কার।

এই এলাকাটি পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ নম্বরে, যেখানে ১৫ জুন লাঠি, রড, পাথর নিয়ে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিনা সেনার। সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান নিহত হন। সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তাদের ধারণা, ৪৫ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কর্নেল পদ মর্যাদার এক আধিকারিকও রয়েছেন, যিনি সংঘর্ষে প্রাণ হারান।

রবিবারের আলোচনার পর, নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়, “রাষ্ট্রনেতাদের ঐক্যমতে পৌঁছানোর মত মেনে চলা হবে” এবং “সমস্যা তৈরি করে মতপার্থক্য রাখা হবে না”। এছাড়াও, বিবৃতি জানানো হয়, “দ্রুততার সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ডিসএগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ করতে সম্মত হয়েছে দুইপক্ষই”।

Advertisement

সরকারি সূত্র NDTV কে জানিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের  মধ্যে সমস্ত এলাকা থেকে চিনের সরে যাওয়া নিয়ে “সাবধানীভাবে আশাবাদী”, এবং দুই দেশের মধ্যে ওই সময়ের মধ্যে সেনাপর্যায়ের আরও উচ্চ-স্তরের বৈঠক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement