গালোয়ান নদীর উপত্যকা থেকে তাদের সেনাবাহিনী ১ কিলোমিটার সরে গেল চিন (প্রতীকি ছবি)
নয়াদিল্লি:
বুধবার পর্যন্ত পূর্ব লাদাখের হট স্প্রিং এলাকা থেকে তাদের সেনাবাহিনীকে ২ কিলোমিটার সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করল চিন। এছাড়াও গালোয়ান উপত্যকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাও ২ কিলোমিটার সরিয়ে নিল তারা। বুধবার গোগরা থেকে সরিয়ে নেওয়ারর কাজ শেষ হবে। তিনটি এলাকা থেকেই সম-দূরত্বে সরে এসেছে ভারতও এবং এই এলাকাটি দুই দেশের মধ্যে বাফার জোন হিসেবে থাকবে অর্থাৎ এই এলাকাটি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব স্পষ্ট করবে। আগামি দু সপ্তাহের মধ্যে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক হবে, সেখানেই ওই অঞ্চলে পেট্রোলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
রবিবার শুরু করে গালোয়ানে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে তাদের ঘাঁট সরিয়ে নিয়েছে চিন। লাদাখে ভারতীয় সেনার টহদারীর ক্ষেত্রে সবচেয়ে দূরবর্তী এলাকা হল পেট্রোলিং পয়েন্ট এবং ভারত ও চিনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অবস্থিত। গালোয়ান থেকে চিন সরে যাওয়ায় এখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় তাদের অংশে রয়েছে লালফৌজ।
দুই দেশের বাফার জোনে ড্রোন এবং উপগ্রহের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়।
বাফার জোনের কোনও অংশেই দুই দেশের কারও তরফেই টহলদারী চালানো হয় না।
সীমান্তের ফ্ল্যাশপয়েন্ট থেকে “পুরোপুরি সরে যাওয়ার” সিদ্ধান্ত নেয় দুপক্ষ, তারপরেই এই পদক্ষেপ হয়। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “ধাপে ধাপে দুই দেশের তরফে উত্তেজনা প্রশমিত করা” হচ্ছে।
রবিবার টেলিফোনে দু ঘণ্টা কথোপকথন হয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুজনেই সম্মত হয়েছেন যে, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনার পুরোপুরি ডিসএনগেজমেন্ট খুব দ্রুত প্রয়োজন এবং ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরাতে উত্তেজনার অবসানের প্রয়োজন”।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারাও নিশ্চিত করেছে যে, দুই দেশেরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মেনে চলা উচিত এবং কারও তরফেই একতরফা পদক্ষেপের মাধ্যমে তার অবস্থা পাল্টানো উচিত নয়, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করতে পারে, এমন কোনও ঘটনা কাম্য নয় এবং একসঙ্গে কাজ করা উচিত”। তবে আলোচনায় বেজিং এর সরকারি বিবৃতিতে এই অংশটি ছিল না।
চিনের তরফে বলা হয়েছে, সামনের সারির সেনা বাহিনী, গালোয়ান উপত্যাকায় ত্তেজনা কমাতে এবং “বিচ্ছিন্ন করা এগিয়ে নিয়ে” যেতে “কার্যকরী ভূমিকা” গ্রহণ করেছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, “সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারত ও চিনের সামনের সারির সেনাবাহিনী কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে এবং ৩০ জুন তৃতীয়বার সেনা পর্যায়ের বৈঠকের পর উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে”।
ভারতের হাতে থাকা প্যাংগং হ্রদ এলাকা নিয়ে চিনে অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। পারষ্পরিক চুক্তির মধ্য দিয়ে ওই এলাকায় যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী টহলদারী চালাত, সেখানে প্রায় ১৯০টি নির্মাণ এবং তাঁবু তৈরি করেছে চিন।
সরকারি সূত্র NDTV কে জানিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সমস্ত এলাকা থেকে চিনের সরে যাওয়া নিয়ে “সাবধানীভাবে আশাবাদী”, এবং দুই দেশের মধ্যে ওই সময়ের মধ্যে সেনাপর্যায়ের আরও উচ্চ-স্তরের বৈঠক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
লাদাখে নতুন রাস্তা এবং অন্যান্য নির্মাণের পরেই, চিনা আগ্রাসন বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হচ্ছে।
Post a comment