Read in English
This Article is From Jun 21, 2020

“উপগ্রহণ চিত্রে দেখা গিয়েছে...”, লাদাখ নিয়ে আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধি

রাহুল গান্ধি বলেন, “আমাদের ভুখণ্ডে কেউ প্রবেশ করেনি এবং আমাদের কোনও ঘাঁটি দখল করেনি বলে প্রধানমন্ত্রীর দাবির উল্টো” “দেখিয়েছে” উপগ্রহ চিত্র

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

লাদাখ নিয়ে বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান রাহুল গান্ধি (ফাইল ছবি))

নয়াদিল্লি:

গত সপ্তাহে লাদাখের পূর্ব দিকে গালোয়ান উপত্যকায় (Ladakh's Galwan Valley) ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) । আক্রমণ করতে “প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকার যে বিতর্কিত এলাকাটি চিন দখল করেছে” বলে উপগ্রহণ চিত্রে দাবি ওঠে, তাকে হাতিয়ার করেন তিনি। রাহুল গান্ধি বলেন, “আমাদের ভুখণ্ডে কেউ প্রবেশ করেনি এবং আমাদের কোনও ঘাঁটি দখল করেনি বলে প্রধানমন্ত্রীর দাবির উল্টো” “দেখিয়েছে” উপগ্রহ চিত্র। রবিবার সন্ধ্যায় টুইটে রাহুল গান্ধি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমাদের ভুখণ্ডে কেউ প্রবেশ করেনি এবং আমাদের ভুখণ্ড কেউ দখল করেনি।  তবে উপগ্রহ চিত্রে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে, প্যংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকা দখল করেছে চিন”।

৫ এবং ৬ মে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকায় ভারত ও চিনা সেনা মুখোমুখি হয়, ফলে দ্রুত দুই তরফেই উত্তেজনা বাড়ে। ১৫ জুন থেকে ২০ জুন সংঘর্ষ ও ভারতীয় সেনার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বাহিনীর শীর্ষ স্তর থেকে আলোচনা শুরু হয়।

শুক্রবার, সংঘর্ষের তিনদিন পর, বিরোধী নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমাদের অংশে কেউ ঢোকেনি এবং আমাদের ভুখণ্ডের কোনও অংশ দখল করেনি”।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পাল্টা টুইট করেন অনেক কংগ্র নেতা, রাহুল গান্ধি শনিবার লেখেন, “চিনা আগ্রাসনের কাছে ভারতীয় ভুখণ্ড সমর্পণ করেছেন” প্রধানমন্ত্রী।

তারপদিনই প্রত্যুত্তর দেয় সরকার, বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের “ভুল ব্যখা করার চেষ্টা হচ্ছে”, এবং সংঘর্ষ হওয়ার কারণ, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নির্মাণ করতে চায় চিন এবং তা সরিয়ে নিতে চায়নি”।

সরকারের তরফে আরও বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের কোনওও উপস্থিতি ছিল না আমাদের বীর জওয়ানদের সাহসীকতার জন্য”।

Advertisement

রবিবার এই বিতর্কে যোগ দেন অভিনেতা রাজনীতিবিদ কমল হাসান, “মানুষকে আবেগ দিয়ে ভুল বোঝানো” এবং “দায়িত্ববোধ” ও “স্বচ্ছতা” নিয়ে সরকারকে সতর্ক করে দেন তিনি।

NDTV এর হাতে আসা উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, গালোয়ান উপত্যকায় ২০০টি ট্রাক, চার চাকার যান, বুলডোজার, এবং মাটি খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নিয়ে আসে চিনের লাল ফৌজ।

৯ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, গালোয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনও যানবাহন ছিল না। এক সপ্তাহ  পর, সেখানে অন্তত ৭৯টি যানবাহন ছিল, যার বেশিরভাগই ট্রাক। এই এলাকাটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ১.৩ কিলোমিটার দূরে।

যানবাহন নিয়ে আসা এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র আনা, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, দুটি বিষয় চিন্তার, মোটামুটিভাবে সংঘর্ষের স্থলে ধ্বংসস্তুপ, যা সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্র গ্রহণের একদিন আগে হয়, এবং নতুন দিক তৈরি করে, যা আগে উল্লেখ করেছিল NDTV যে, গালোয়ান নদীর প্রবাহে বাধা দিতে পারে চিন।

Advertisement

৯ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, গালোয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনও যানবাহন ছিল না। এক সপ্তাহ  পর, সেখানে অন্তত ৭৯টি যানবাহন ছিল, যার বেশিরভাগই ট্রাক। এই এলাকাটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ১.৩ কিলোমিটার দূরে।

Advertisement