This Article is From Jun 28, 2020

এলএসি'র সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে কালো ত্রিপল! লাল ফৌজের উপস্থিতি ঘিরে জল্পনা

কিন্তু সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র অন্য কথা বলছে। ২৫ ও ২৬ জুন প্রকাশিত এই চিত্রে এখনও বিতর্কিত এলাকায় চিন সেনার উপস্থিতি স্পষ্ট

এলএসি'র সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে কালো ত্রিপল! লাল ফৌজের উপস্থিতি ঘিরে জল্পনা

গালোয়ান উপত্যকায় কালো ত্রিপলের ছবি ধরেছে উপগ্রহ চিত্র।

নয়াদিল্লি:

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কালো ত্রিপলের ছবি সম্প্রতি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে (Sattelite image of black tarpaulin)। সেই ত্রিপল লাল ফৌজি ঘাঁটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এই সম্ভাবনা উসকে দেওয়া হয়েছে। এনডিটিভি'র হাতেও এসেছে সেই চিত্র। সেই সেক্টরে (Ladakh Sector) ৯ কিমির মধ্যে প্রায় ১৬টি শিবির চিহ্নিত করেছে সেই চিত্র। সেই চিত্র দেখে স্পষ্ট, সামরিক স্তরের আলোচনায় চিন বাহিনী (PLA) সরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও, সেটা খাতায়-কলমে। শুধু তাই নয় এলএসি বরাবর ব্যাপক সামরিক সম্ভার বাড়াচ্ছে বেজিং। সেই চিত্র পর্যবেক্ষণ করে এমন দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরের সম্ভাবনা তৈরি করতে এই উদ্যোগ। এমনটাও দাবি করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। গত ২২ জুন লেফটান্যান্ট পদমর্যাদার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে দুটি দেশ সীমান্ত (Indo-China border) থেকে নিরাপদ দূরত্বে বাহিনী সরানোর পক্ষে সম্মতি দিয়েছিল।

কিন্তু সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র অন্য কথা বলছে। ২৫ ও ২৬ জুন প্রকাশিত এই চিত্রে এখনও বিতর্কিত এলাকায় চিন সেনার উপস্থিতি স্পষ্ট।

1nd0sa7s

জুন ২৫ ও ২৬ তারিখ গালোয়ান উপত্যকায় কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। 

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় যদি এখনও চিন কোনও অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে, রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলল ভারত। শুধু তাই নয়, ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও এর প্রভাব পড়বে বলেও প্রতিবেশী দেশটিকে সতর্ক করা হল। ভারতের দাবি, পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার দাপাদাপি বন্ধ করুক বেজিং। চিনে দায়িত্বরত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি  সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার একমাত্র রাস্তা হ'ল চিনের তরফ থেকে সেখানে নতুন নির্মাণ বন্ধ করা। তিনি বলেন, "গালওয়ান উপত্যকার উপর চিনের সার্বভৌমত্বের দাবি মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়"। চিনের এই ধরনের অতিরঞ্জিত দাবিগুলি যে কোনও কাজে আসবে না, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে দু'দেশের মধ্যে এই চাপানউতোর শুধু যে ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করবে তাই নয়, চিনের এই কার্যকলাপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়াও সৃষ্টি করবে।

kcg7a07c

 ৯ কিমি এলাকায় প্রায় ১৬টি শিবির। দাবি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, "দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির জন্যে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি অপরিহার্য শর্ত। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে চিনের সেনাবাহিনীর এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও শর্তই মেনে চলছে না। চিনের উচিত ভারতীয় সেনার সাধারণ টহলদারিতে বাধা সৃষ্টি না করা।

.