India-China: এর আগে, ভারত এবং চিন দু'দেশই তাদের মধ্যে মার্কিন মধ্য়স্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে
হাইলাইটস
- নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার সমাধান হোক চায় আমেরিকা
- যেভাবে চিন ভারতের সীমান্তরেখায় আগ্রাসন চালাচ্ছে তার নিন্দা করেছে ওই দেশ
- ৫ মে ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনার মধ্যেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়
নয়া দিল্লি: চিন (China) যেভাবে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে ভারতের (India) উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে তার তীব্র নিন্দা করল আমেরিকা (United States)। সোমবার মার্কিন প্রতিনিধি তথা সেদেশের বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির প্রধান ইলিয়ট এঙ্গেল বলেছেন যে, লাদাখের (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ধরে যেভাবে ভারতের বিরুদ্ধে চিন আগ্রাসন নীতি নিয়েছে তাতে আমেরিকা "অত্যন্ত উদ্বিগ্ন"। তিনি বেজিংকে "সীমান্ত রেখা লঙ্ঘন না করার জন্যে রীতিনীতি মেনে চলার বিষয়ে এবং কূটনীতি ব্যবহার করে" এই সমস্যা সমাধানের জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত ও চিনের মধ্যেকার সীমান্ত সমস্যার সমাধান নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই করা উচিত, মনে করেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের ওই প্রতিনিধি।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব খারিজ করল চিন
"ভারত-চীন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের রেখার উপর চলমান চিনা আগ্রাসনে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চিন আবারও এটা দেখাচ্ছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিরোধ নিষ্পত্তি করার পরিবর্তে প্রতিবেশীদের ঝামেলায় ফেলতেই বেশি আগ্রহী", বলেন মার্কিন বিদেশ প্রতিনিধি ইলিয়ট এঙ্গেল।
"দ্বিপাক্ষিক ইস্যু আমরাই মেটাবো!" চিন নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা ফেরাল দিল্লি
"সব দেশকেই আবশ্যিকভাবে একই নিয়ম বিধি মেনে চলতে হবে যাতে আমরা এমন একটি পৃথিবীতে বাস করতে পারি যেখানে 'সঠিক নিয়ম আছে।' আমি চিনকে একান্তভাবে এই অনুরোধ করছি, যাতে তারা ভারতের সঙ্গে হওয়া সীমান্ত সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতিগুলো মেনে চলে এবং কূটনৈতিক কৌশলগুলি ব্যবহার করে", টুইটে লেখেন তিনি।
মে মাসের গোড়ার দিকে লাদাখের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় ও চিনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপরেই উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে যে বেজিং লাদাখের কাছে তাদের বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চালাচ্ছে। এমনকী বেশ কিছু চিত্রে এও দেখা গেছে যে, কয়েকটি যুদ্ধবিমানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ৯ মে, একটি ভারতীয় টহলদারী দলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চিনা সেনারা। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনাবাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তখনই জানানো হয় যে মোটরচালিত নৌকাগুলির সাহায্যে পানগং হ্রদে ঘোরাফেরা করছে তাঁরা।
ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
তবে শুধু ভারতই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনার সঙ্গেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চিনের সেনাবাহিনীর। এরই মধ্যে আবার মার্কিন নৌবাহিনীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিতেও দেখা গিয়েছে। তবে ভারত ও চিনের পারস্পরিক বিরোধের সমাধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট মধ্য়স্থতা করতে চাইলেও দু'দেশই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।