নয়াদিল্লি: সহমতের (Indo-China military level talks) ভিত্তিতে ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমন দাবি করা হয়েছে। গত ১১ঘণ্টা ধরে সামরিক কমান্ডিং অফিসার স্তরে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতিবাচক, গঠনমূলক আর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই বৈঠক হয়েছে। এদিন জানিয়েছে সেই সূত্র। সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, পূর্ব লাদাখের (Indo-China East Ladakh conflict) যে এলাকাগুলো নিয়ে সংঘাত, সেই এলাকার বিষয়ে কথা হয়েছে। পাশাপাশি গৃহিত সিদ্ধান্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলপ্রসূ ও সদর্থক এই বৈঠক। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, চিনের চুশুলের মলডোয় লেফটান্যান্ট জেনারেলের নেতৃত্বে এই বৈঠক হয়েছে।
এর আগে ৬ জুন এই ধরনের বৈঠক হয়েছিল। সেবারও সামরিক বাহিনী নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর পরেই ১৫ জুন সংঘাতে জড়ায় দু'দেশের বাহিনী। ভারতীয় তরফে ২০ জন শহিদ আর ৭৬ জন জখম হওয়ার খবর মিলেছে। পাশাপাশি চিনা তরফে ৪৫ জনের হতাহতের খবর মিলেছে। এই ঘটনার পর আরও বেড়েছে আস্ফালন। দুই দেশই সামরিক মোতায়েন বাড়িয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই উত্তেজনা প্রশমনে একদিকে যেমন কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলেছে, তেমন হয়েছে সামরিক বৈঠক।
চার দশক পর আবার কেন রক্তাক্ত হল লাদাখ উপত্যকা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বসে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা বলছেন, লালফৌজের চোখে চোখ রেখে কথা, সহ্য করতে পারেনি চিন। তাই কিছুটা পালটা দিতে এই সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে। ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান। এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ। তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ এবং তাতেই প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের।