Read in English
This Article is From Dec 01, 2019

ভারত ও চিনের মধ্যে পারস্পরিক মতবিরোধ মেটানো উচিত: বেজিং

India-China Relations: "উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া চাপান-উতোর সরিয়ে পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়াতে হবে",বলেন চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

China: চিনের মন্ত্রী লুও জাওহুই বলেন, "ভারত ও চিনকে অবশ্যই দুদেশের মধ্যেকার মতপার্থক্য দূরীকরণে সচেষ্ট হতে হবে" (ফাইলচিত্র)

বেজিং:

ভারতকে ঘুরিয়ে এবার সমঝোতার বার্তা দিল প্রতিবেশী দেশ চিন (China)। সে দেশের উপ-বিদেশমন্ত্রী লুও ঝাওউই বলেন যে দুই দেশের (India-China Relations) মধ্যেকার মত পার্থক্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা উচিত এবং দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ মেটানো উচিত। ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত দু'দিনের ''চতুর্থ ভারত-চিন থিংক-ট্যাঙ্কস ফোরাম''-এর বক্তব্যে লুও ঝাওহুই বলেন, "চিন ও ভারতের যুগপৎ উত্থানের বিষয়টি একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা"। চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী বলেন, "উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া চাপান-উতোর সরিয়ে পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়াতে হবে। দুই দেশের মধ্যেকার পার্থক্যকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে দুই দেশেরই উন্নতি সাধন করতে হবে এবং দুটি বড় উন্নয়নশীল দেশেই শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন ও উন্নয়নের পথের সন্ধান করতে হবে"। প্রসঙ্গত, লুও ঝাওহুই, আগে ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্বভার সামলেছেন।

২০১৫ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ওই থিংক-ট্যাঙ্কস ফোরামটির প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এই ফোরামটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) এবং চিনা সমাজ বিজ্ঞান একাডেমি (সিএএসএস) যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করে।

Advertisement

কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ পরিকল্পনা ভারত-চিনের

চলতি বছরে এই ফোরামের উদ্দেশ্য হল দু'দেশের মধ্যে উন্নয়নমূলক অংশীদারিত্ব আরও বাড়িয়ে তোলা, সেই লক্ষ্যে ভারত এবং চিনের উন্নয়নমূলক কৌশল এবং অভিজ্ঞতার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়েও বিশদে আলোচনা করা হয়। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও শিক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় বলেও এক বিবৃতিতে জানায় ভারতীয় দূতাবাস।

Advertisement

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, "এই আলোচনা বন্ধুত্ব এবং খোলামেলা মনোভাবের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং বৈঠকটি দুই দেশের মধ্যেই পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে বড়সড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে"।

“অবৈধভাবে ভারতের ভুখণ্ড দখল করেছে” চিন, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জবাব ভারতের

Advertisement

বৈঠকে ১৫ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের মহা নির্দেশক টিসিএ রাঘাওয়ান।

আলোচনায় অংশ নেওয়া ভারত ও চিনের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা  এই ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে ভারত ও চিনের পারস্পরিকভাবে আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা করা উচিত এবং নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা উচিত।

Advertisement

মহারাষ্ট্র নিয়ে কী নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করল বিজেপি? দেখুন ভিডিও:

  .  
Advertisement