India-China Border: কয়েক বছর আগে ডোকালাম সীমান্ত নিয়েও ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়
হাইলাইটস
- ৫ মে ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনার মধ্যেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়
- এই উত্তেজনা কমাতে দুই দেশই আলোচনায় বসছে
- দুুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা চুশুল-মোলদোয় সামরিক পর্যায়ে বৈঠকের আয়োজন
নয়া দিল্লি: ভারত (India) ও চিনের (China) সীমান্ত এলাকা নিয়ে বরাবরই দুই দেশের মধ্যে মতভেদ ছিল, সম্প্রতি সেই সীমান্ত সমস্যা আরও চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই দুই দেশেরই সেনার মধ্যে লাদাখ (Ladakh) নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবার তাই ভারত-চিন সাম্প্রতিক চাপানউতোরের (India-China Border Problem) সমাধান খুঁজতে আজ (শনিবার) বৈঠকে বসছেন দুই দেশেরই সামরিক পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা। জানা গেছে, ভারত ও চিনের মধ্যেকার সীমান্তবর্তী এলাকা চুশুল-মোলদোতে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের ওই বৈঠকটি হবে। ভারতই মূলত সীমান্ত সমস্যার সমাধানে আলোচনা করার জন্যে চিনের প্রতি আহ্বান জানায়, তাতে সাড়া দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। ভারতের তরফ থেকে সামরিক আলোচনার নেতৃত্বে থাকবেন ফোরটিন কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। সূত্রের খবর, দুই দেশের মধ্যে ওই আলোচনা পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মেটাতে একটা "ইতিবাচক ইঙ্গিত" বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে এর আগেও ভারত-চিন সীমান্তে তৈরি হওয়া উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে চেষ্টা করা হয়নি তা কিন্তু নয়। ৯ মে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে একাধিকবার স্থানীয় পর্যায়ের আলোচনা হলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা, নিয়ে আলোচনা প্রধানমন্ত্রী মোদি, ট্রাম্পের
সংবাদসংস্থা পিটিআই একটি সরকারি সূত্র তুলে ধরে জানিয়েছে যে ভারতীয় প্রতিনিধিরা পূর্ব লাদাখ নিয়ে সমস্যা সমাধানে চিনের উপর চাপসৃষ্টি করবেন। খবর, ওই এলাকায় নাকি ইতিমধ্যেই দু'দেশের সীমা টপকে চিন তাদের সেনা মোতায়েন করেছে। আর এই কারণেই নাকি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এদেশের সামরিক কর্তারা বেজিংকে অনুরোধ করবেন যাতে ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তের পাশে যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করছে ভারত তার যেন বিরোধিতা না করে চিন।
ভারতের বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের নিন্দায় সরব মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক
ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে চিনা সেনাবাহিনী লাদাখ ও সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি টপকে এদেশের জমিতে ঘাঁটি গাঁড়ার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনাবাহিনী তা রুখে দেয়। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় চিনের তরফ থেকে প্রথমে ভারতকে দোষারোপ করা হয়। কিন্তু এদেশের পক্ষ থেকে চিনের দাবি নস্যাৎ করে বলা হয় যে ওই দেশের সেনাই সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
ভারত-চিন সীমারেখার যে পাঁচটি এলাকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে পূর্ব লাদাখ তার মধ্যে অন্যতম। অভিযোগ সম্প্রতি ওই এলাকা দিয়েই ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনাবাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তখনই জানানো হয় যে মোটরচালিত নৌকাগুলির সাহায্যে পানগং হ্রদে ঘোরাফেরা করছে চিনা সৈন্যরা। তারপরেই রুখে দাঁড়ায় ভারত।
ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালে ডোকালাম সীমান্ত নিয়েও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রায় ৩ মাস ধরে চলেছিল। ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতেও জড়িয়ে পড়েছিল ভারত। এবার ফের সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় তার সমাধান খুঁজতেই আজকের (৬ জুন) এই ভারত-চিন বৈঠক।