বিয়ের অনুষ্ঠানের কেনাকাটা করতে পেশোয়ারে গিয়েছিলেন তিনি
পেশোয়ার: নানকানা সাহিবের (Nankana Sahib) গুরুদ্বারে হামলার দুদিন পর পাকিস্তানের পেশোয়ারে (Peshawar) ২৫ বছরে এক শিখ যুবককে হত্যা (Sikh man killed) করা হয়, রবিবার এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। সেখানে বলা হয়েছে, সাংবাদিক হরমিত সিং এর ভাই রবীন্দর সিংকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা। খাইবার পাকতুনখোয়া প্রদেশের সাঙ্গলা জেলায় থাকতেন রবীন্দর সিং, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের কেনাকাটা করতে পেশোয়ারে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে হত্যার পরে, সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পুলিশ জানায়, রবীন্দর সিং এর বাড়িতে ফোন করে ওই আততায়ী। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, “টার্গেট করে” “পেশোয়ারে সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়কে” হত্যার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ঘটনা সরকারের তরফে বলা হয়েছে, “এটি ঘৃণ্য তাণ্ডব এবং নানকানা সাহিবের গুরুদ্বার শ্রী জম্ম আস্থানের অপবিত্রতা এবং শিখ যুবতী জগজীত কৌরকে অপহরণ, জোর করে ধর্মান্তরণ, এবং বিয়ে করার নিন্দা”।
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, “পাকিস্তান সরকারকে ইতিমধ্যে কাজ ও তাদের কথার পার্থক্য কমাতে এবং আততায়ীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে বলেছে। অন্য দেশকে উপদেশ না দিয়ে, নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পাকিস্তানের পদক্ষেপ করা উচিত”।
এই হত্যার নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেম অমরিন্দর সিং ট্যুইটে লেখেন, “নানকানা সাহিবে হামলায়, পাকিস্তানে শিখ যুবক রবীন্দর সিং এর হত্যার ঘটনায় হতবাক এবং মর্মাহত। ইমরান খান সরকারের উচিত যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া। কথা অনুযায়ী, কঠোর পদক্ষেপ করার সময় এসেছে”।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একদল ক্রুদ্ধ যুবক নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে পাথর ছুঁড়তে থাকে। গত অগস্টে এক শিখ মহিলাকে অপরহরণে যুক্ত ব্যক্তির পরিবারের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে হামলা চলছিল”।
হামলা আটকাতে না পারায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধীরাও। শনিবার ট্যুইটে রাহুল গান্ধি লেখেন, “নানকানা সাহিবে হামলার ঘটনা নিন্দনীয় এবং সমানভাবে নিন্দা করা উচিত। ধর্নান্ধতা খুবই ভয়ঙ্কর, এটি বহু প্রাচীন বিষ, তা সীমান্ত মানে না। ভালবাসা, পারষ্পরিক সৌহার্দ্য ও বোঝাপড়া দিয়েই একে খতম করা সম্ভব”।
মধ্যরাতে এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক জানায়, শুক্রবার “দুটি মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ” হয়। তাদের দাবি, ঝামেলার নেপথ্যে ছিল চায়ের দোকানে একটি ছোট্টো বচসা, অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রকের আরও দাবি, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, গুরুদ্বারে কোনও ক্ষতি হয়নি, তা সেখানে কোনও আঁচ পড়েনি”।
(ANI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে)