নয়াদিল্লি: মাত্র ১৫ দিনে এক মিলিয়ন সংক্রমণ ভারতে। ৭ অগাস্ট দেশে সংক্রমিত হয়েছিলেন ২০ লক্ষ মানুষ। দু'সপ্তাহ পর সেই সংখ্যা ছুঁল ৩০ লক্ষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এমনটাই উল্লেখ। দেশে শনিবার বিকেল পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩০,০৫,২৮১। সংক্রমণের বিচারে বিশ্বে তিন নম্বরে ভারত। প্রথম দুয়ে ইউএস ও ব্রাজিল। গত ১৮ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণের বিচারে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত। বাজারভিত্তিক হিসেবে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত ৬,৫৭,৪৫০ জন। তারপরেই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এদিকে, আনলক-৩ চলাকালীন আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ বন্ধ না করতে রাজ্যগুলোর কাছে আবেদন জানাল কেন্দ্র। কিছু রাজ্য কিংবা সংশ্লিষ্ট রাজ্যে মুষ্টিমেয়ে জেলাশাসক এই যোগাযোগ লাগাম টানছেন। ফলে প্রভাবিত হচ্ছে পণ্য পরিষেবা, বাণ্যিজিক যোগাযোগ এবং কর্মসংস্থান। তাই আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ সচল রাখতে শনিবার চিঠি লিখলেন স্বরাষ্ট্র সচিব অজয়কুমার ভাল্লা। সেই চিঠির পঞ্চম অনুচ্ছেদে লেখা আন্তঃরাজ্য কিংবা আন্তঃজেলা যোগাযোগে কোনও পণ্য কিংবা মানুষের পৃথক ই-পারমিট লাগবে না। এমনকী, এই আবেদন লঙ্ঘিত হলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, ২০০৫-এর লঙ্ঘন করা হবে। এমন বার্তাও দেওয়া সেই চিঠিতে। এদিকে, যেন সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলায় মেতেছে করোনা ভাইরাস। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শনিবার সকালে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তাতে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংক্রমণ ঘটেছে। একদিনের মধ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলো ৬৯,৮৭৮ জন। ফলে ভারতে এপর্যন্ত মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯,৭৫,৭০১ জন। তবে প্রায় ২২.২২ লক্ষ মানুষ এই রোগের সঙ্গে লড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত একদিনে ৯৪৫ জনের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত দেশে ৫৫,৭৯৪ জনের প্রাণ কেড়েছে এই মারণ ভাইরাস।
চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২২,২২,৫৭৭ জন মানুষ। অর্থাৎ দেশে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে ৭৪.৬৯ শতাংশে পৌঁছে গেছে। শুক্রবার দিনভর ১০,২৩,৮৩৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। অর্থাৎ যতজনের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে তার মধ্যে পজিটিভিটির হার ৬.৮২ শতাংশ। করোনার প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩,৪৪,৯১,০৭৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে।
মোট করোনা সংক্রমণের বেশীরভাগ রোগী দেশের পাঁচটি রাজ্য মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজারের গণ্ডি পার করেছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও রাজ্যের সুস্থতার হার আগের থেকেই অনেকটাই বেড়েছে বলে সরকারি পরিসংখ্যানেই দেখা যাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট 'এগিয়ে বাংলার' তথ্য অনুযায়ী সবথেকে বেশি কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে নদিয়ায়। তারপরেই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান। তারপরেই রয়েছে উত্তর দিনাজপুর। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী গোটা দেশে কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বর্তমানে ২৩০৪। তার মধ্যে নদিয়াতেি রয়েছে ৩৯৬টি কন্টেনমেন্ট জোন।