সোমবার সূত্র মারফৎ জানা যায়, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের সঙ্গে সোমবার কথা বলেছে ভারত।
নয়াদিল্লি: জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। সেই বিষয়টির অগ্রগতি সম্পর্কে ওয়াংশিটনকে জানিয়ে রেখেছিল নয়াদিল্লি, সংবাদমাধ্যমের সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট সাফ জানিয়ে দিল, জম্মু কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিষয়টি তাদের জানায়নি ভারত। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ব্যুরো থেকে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, “সংবাদমাধ্যমের খবরের বিপরিত, জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদার বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ভারত আলোচনা করেনি বা জানায়নি। ট্যুইটে সই করেছেন কার্যকরী অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস ওয়েলস। সোমবার সংবাদ পোর্টাল দ্যা প্রিন্ট খবর করে, মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেওকে, জম্মু কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের বিষয়টি জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল পাকিস্তান, কাশ্মীর ইস্যুতে বন্ধ বাণিজ্য: খবর
নাম না জানানো সূত্রে, দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, ১ অগস্ট, ব্যাঙ্ককে, নবম পূর্ব এশিয়া সামিটের ফাঁকে পম্পেওকে বিষয়টি জানান এএস জয়শঙ্কর, এবং ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর, মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনকে বিষয়টি জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
সোমবার সরকারি সূত্র NDTV কে জানিয়েছে, জম্মু কাশ্মীর নিয়ে সরকার পদক্ষেপের বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের, আমেরিকাসহ পাঁচ সদস্য এবং বিদেশী সংবাদমাধ্যমকে জানায় ভারত।
আমেরিকা ছাড়াও, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্য স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে রয়েছে, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ইংল্যান্ড।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তা ছিল “স্বল্পমেয়াদি”। মন্ত্রকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, “কোনও কিছু সমসাময়িক রাখার ক্ষেত্রে ৭০ বছর অনেক বেশী সময়। এটা দায়বদ্ধতা কমায়, পরিষেবা খারাপ করে, এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বৃদ্ধি ঘটায়”।
বন্ধ কাশ্মীরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাক্যালাপ অজিত দোভালের
৩৭০ ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল—রাজ্যকে নিজেদের আইন কানুন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ করার অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়ে এই ধারায়।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কায়েমী স্বার্থান্বেষীরা চায় না, কাশ্মীরে ভারতের আইন প্রয়োজ্য হোক। বিনিয়োগের ওপর এর প্রভাব পড়ে এবং লিঙ্গবৈষম্য তৈরি হয়।মৌলিক কর্তব্যগুলিও রাজ্যে প্রযোজ্য হয় না।