Read in English
This Article is From Apr 21, 2020

কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেনি দেশের নয়া এফডিআই নীতি, চিনকে জবাব দিল ভারত

ভারতের সংশোধিত এফডিআই নীতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) ঘোষিত নীতির পরিপন্থী, এটি "বৈষম্যমূলক", বলেছে বেজিং

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

FDI Rules: চিনের মতো সুযোগসন্ধানীদের রুখতেই দেশের এফডিআই নীতি সংশোধন করেছে ভারত

নিউ দিল্লি:

 নয়া এফডিআই নীতি নিয়ে চিনের (China) সমালোচনার জবাব দিল ভারত। দেশের (India) নয়া বিদেশি বিনিয়োগ নীতিটি (FDI Rules) মোটেই ডব্লিউটিও-র চুক্তি লঙ্ঘন করেনি, সাফ জানানো হল বিদেশমন্ত্রকের তরফে। মঙ্গলবার শীর্ষ সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে, ভারতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক পড়শি দেশগুলোকে এদেশে বিনিয়োগ করার আগে সরকারি অনুমোদন নিতে হবে, নয়া এই নিয়মের মধ্যে কোনও বৈষম্য নেই। এর আগে এক বিবৃতিতে বেইজিং অভিযোগ করে যে, ভারতের সংশোধিত এফডিআই নীতি (Amended FDi rule in India) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) ঘোষিত নীতির পরিপন্থী ও এটি পুরোটাই "বৈষম্যমূলক"। ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি থাকা পড়শি দেশগুলোর এদেশে বিনিয়োগের জন্যে এর আগে দুটি এফডিআই ধারা ছিল। পাকিস্তান, বাংলাদেশের জন্যে একটা ধারা। যেখানে সরকারি অনুমতি ছাড়া বিনিয়োগ সম্ভব ছিল না। আর চিন, নেপাল, মায়ানমার ও ভুটানের জন্য একটা ধারা। যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বিনিয়োগ করা যেত। কিন্তু নয়া এই এফডিআই সংশোধনীতে বলা হয়েছে এখন থেকে চিন, নেপাল, ভূটানকেও ভারতে বিনিয়োগ করতে হলে সরকারি অনুমোদন নিয়েই সেই কাজ করতে হবে। আর এখানেই আপত্তি তুলেছে বেজিং।

এর আগে মোদি সরকার দেখেছে যে, ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ধুঁকতে থাকা দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিজেদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে চিন। একে "সুবিধাবাদী দখল / অধিগ্রহণের ছলে দমন কৌশন" বলে উল্লেখ করে সরকার। আর চিনের সেই অভিসন্ধি ধরে ফেলার পরেই সাত তাড়াতাড়ি নিজেদের এফডিআই নীতিতে কিছু সংশোধন করে ভারত।এরপরেই ভারতের নয়া এফডিআই নীতির সমালোচনা করে বিবৃতি দেয় চিন। ওই দেশের দূতাবাস থেকে বলা হয়, "ভারতের সংশোধিত এফডিআই নীতি বিভেদমূলক। এতে অতিরিক্ত দায় চাপানো হয়েছে বিনিয়োগে ইচ্ছুক অন্য দেশের ঘাড়ে। এই সংশোধন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডাবলুটিও'র ঘোষিত নীতির পরিপন্থী। এই নীতি উদার অর্থনীতি ও বিদেশি বানিজ্যকে স্বাগত জানানোর বিরোধী। আমাদের আশা ভারত এই সংশোধনীতে বদল আনবে। সব দেশের বিনিয়োগকে সমানভাবে স্বাগত জানাবে। পাশাপাশি খোলামেলা ও প্রতিবন্ধকতা-হীন বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করবে।"

যদিও ভারত জানিয়েছে, শুল্ক ও বাণিজ্য সম্পর্কিত সাধারণ চুক্তি (GATT) মেনে করা নতুন নিয়মগুলি কোনওভাবেই সরাসরি পণ্যগুলিকে প্রভাবিত করে না।বিশ্ব জুড়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের প্রেক্ষাপটেই ভারত এফডিআই নীতি সংশোধন সংক্রান্ত এই পদক্ষেপ নিয়েছে । কেননা দেখা যাচ্ছে COVID- 19 মহামারীর ফলে যে যে দেশের সংস্থাগুলো ধুঁকছে, সেই সেই দেশেই সস্তায় ওই সংস্থাগুলোর শেয়ার কিনছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এই সব দেখে শুনে অস্ট্রেলিয়া এবং জার্মানির মতো দেশগুলিও তাদের দেশিয় সংস্থাগুলির সুরক্ষার জন্যে সম্প্রতি নিজেদের এফডিআই নীতি আগের তুলনায় আরও কঠোর করেছে বলে জানা গেছে।

Advertisement
Advertisement