ওই যাত্রীরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ছিলেন না। প্রতীকী চিত্র।
হাইলাইটস
- আগ্রা থেকে তামিলনাডুর কোয়েম্বাটুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি।
- মৃতদের একজনের বয়স ৮১ বছর।
- ওই যাত্রীরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ছিলেন না।
নয়াদিল্লি: ‘অসহ্য' গরমের (Heat) দাপটে ট্রেনের মধ্যেই চার যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসিতে (Jhansi)। গত দু'সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ চলছে ঝাঁসিতে। সোমবার আগ্রা থেকে তামিলনাডুর কোয়েম্বাটুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। ভারতীয় রেলের এক মুখপাত্র অজিতকুমার সিংহ সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘গরম একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। সত্যিই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।'' তিনি জানান, ‘‘ঝাঁসিতে যখন ট্রেনটি প্রায় পৌঁছেছে তখনই এক কর্মীর ফোন পাই, একজন যাত্রী বেহুঁশ হয়ে পড়েছেন। আমরা মেডিক্যাল স্টাফদের দ্রুত স্টেশনে পাঠাই। কিন্তু তারা জানায়, তিনজন যাত্রী ততক্ষণে মারা গিয়েছেন।'' পরে চতুর্থ ব্যক্তিও হাসপাতালে মারা যান। গত কয়েকদিন ধরে ঝাঁসির তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির উপরে রয়েছে। অজিতকুমার জানান, ট্রেনটির কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যটা ছিল না। কিন্তু ওই যাত্রীরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ছিলেন না।
চার শহরে রেকর্ড তাপমাত্রা, সবচেয়ে ভয়ানক তাপপ্রবাহের সাক্ষী দেশ
ওই দলের এক সদস্য, যিনি আগ্রা থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন, তিনি জানাচ্ছেন, ট্রেনটি অত্যধিক গরম ছিল। News18 television-কে ওই যাত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আগ্রা ছাড়ার খানিক পরেই গরম অসহ্য হয়ে উঠতে থাকে। শ্বাসকষ্ট ও অস্বস্তি শুরু হয় কয়েক জনের। কোনও সাহায্য আসার আগেই ওঁরা মারা গেলেন।'' ওই চ্যানেলের তরফ থেকে জানানো হয়, মৃতদের একজনের বয়স ৮১ বছর।
গরমের দাপটে কেরল এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর মৃত্যু ঝাঁসিতে
দেশজুড়ে তাপমাত্রার দাপট দেখা যাচ্ছে। রাজস্থানের কোনও কোনও জায়গায় ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা। হিট স্ট্রোকে বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থানের চুরুর তাপমাত্রা সম্প্রতি পৌঁছেছিল ৫০.৩ ডিগ্রিতে। দেশের রেকর্ড তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রির কাছাকাছি।