This Article is From Mar 16, 2019

জইশ প্রধানের ব্যাপারে চিনের ভূমিকা নিয়ে 'ধীরে চলো' নীতি ভারতের

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫'টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪’টি দেশই এই ইস্যুতে ভারতকে তাদের সমর্থন জানিয়েছিল।

জইশ প্রধানের ব্যাপারে চিনের ভূমিকা নিয়ে 'ধীরে চলো' নীতি ভারতের

এক দশকে মোট চারবার মাসুদ আজহারের নামটি এই তালিকায় রাখার ব্যাপারে বাধা দিল বেজিং।

নিউ দিল্লি:

‘যতদূর পর্যন্ত সম্ভব' চিনের ব্যাপারে ততদূরই স্থৈর্য দেখাবে ভারত। জানাল সূত্র। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘গ্লোবাল টেররিস্ট'-এর কালো তালিকায় জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের নামটি রাখার ব্যাপারে ফের আপত্তি জানিয়েছিল চিন মাত্র ৩ দিন আগেই। এই নিয়ে গত এক দশকে মোট চারবার মাসুদ আজহারের নামটি এই তালিকায় রাখার ব্যাপারে বাধা দিল বেজিং। শুধু তাই নয়, মাসুদ আজহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারেও রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে নিজেদের আপত্তি জানিয়েছে চিন। সূত্র জানিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের কিছু ‘বোঝাপড়া' রয়েছে। ভারত এই ব্যাপারটিতে সবধানী হলেও আত্মবিশ্বাসী যে, মাসুদ আজহারকে ওই গ্লোবাল টেররিস্ট তালিকাতেই ফেলা হবে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫'টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪'টি দেশই এই ইস্যুতে ভারতকে তাদের সমর্থন জানিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ লোকসভায় জেতার মতো প্রার্থী আমাদের দলে যথেষ্ট সংখ্যায় নেই, বললেন দিলীপ ঘোষ

চিনের এই বাধার ফলে মাসুদ আজহার নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে গেল আরও ৬ মাস। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত সদস্য দেশের কাছেই মাসুদ আজহার সম্বন্ধে বিবিধ জরুরি তথ্য সরবরাহ করবে ভারত, যাতে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম সিদ্ধান্তটি নিতে অতি সুচারুভাবে নেওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, মাসুদ আজহারের ওপর রাষ্ট্রপুঞ্জ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার অর্থ হল, তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে, কোনও স্থানে যাওয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে এবং অস্ত্রসমর্পণ করতে হবে।

মাসুদ আজহার নিয়ে চিন ফের বাধা দেওয়ায় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ঘটনাটিকে ‘হতাশাজনক' বলে অভিহিত করা হয়েছে।

পাঠানকোটের বায়ুসেনা শিবিরে জঙ্গি হানার কয়েকমাস পরে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসেও চিন মাসুদ আজহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বাধা দিয়েছিল।  

.