ভারত এই মুহূর্তে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম জল সংকটের মুখোমুখি, আজ নীতি আয়োগের রিপোর্ট এই কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিল। রিপোর্টে বলা হল এই মুহূর্তে 60 কোটির ওপর ভারতীয় ভয়ঙ্কর জল-সংকটের সম্মুখীন। এবং, প্রত্যেক বছর কমপক্ষে দু’লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় পানীয় জলের সংকটের অভাবে। এই জল সংকট সামনের দিনগুলোয় আরও খারাপ আকার ধারণ করতে চলেছে। তার কারণ, নীতি আয়োগের রিপোর্টটি জানাচ্ছে, 2030 সালে দেশের জল সরবরাহ ব্যবস্থা এখনকার নিরিখে অন্তত দ্বিগুণ বাড়াতে হবে। তার অর্থ হল , আবারও লাখো মানুষ জল সংকটের মুখোমুখি হবেন এবং জিডিপির বৃদ্ধি কমে যাবে অন্তত 6 শতাংশ।
‘কম্পোজিট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইনডেক্ষ; শীর্ষক ওই রিপোর্টি প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, একুশটি বড়ো শহর আগামী 2020 সালের মধ্যে প্রবল জল সংকটের মুখোমুখি হবে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন অন্তত 10 কোটি ভারতীয়।
একটি স্বাধীন সংস্থা কর্তৃক তৈরি হওয়া এই রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, এই দেশের অন্তত 70 শতাংশ জলই দূষিত। জলের গুণমানের সূচক হিসাবে যা গোটা বিশ্বে ভারতকে 122’টি দেশের মধ্যে 120’তম স্থানে নামিয়ে ফেলেছে।
নীতি আয়োগ প্রতিটি রাজ্যের জন্যও একটি সূচক প্রস্তুত করেছে। 9’টি আলাদা সেক্টর তৈরি করেছে তারা। তুলে ধরেছে ভূগর্ভস্থ জল সংক্রান্ত 28’টি বিভিন্ন দিক।
নীতি আয়োগের এই সূচক অনুযায়ী দেশের সেরা রাজ্য হয়েছে গুজরাত। তারপরই আছে মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র।
উত্তর-পূর্ব এবং হিমালয়ের পাদদেশে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে 2016-17 মরশুমে সেরা হয়েছিল ত্রিপুরা। তারপর ছিল হিমাচল প্রদেশ, সিকিম এবং আসাম।