আমি ২০১৬ সাল থেকেই মিটমাট করার প্রস্তাব দিচ্ছি, এনডিটিভিকে বললেন মালিয়া।
লন্ডন: দিনকয়েক আগেই লন্ডনের আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে, ভারত চাইলে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারে। ৯,০০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপের অভিযোগ তাঁর নামে। সেই পলাতক ধনকুবের বিজয় মালিয়া এবার মুখোমুখি হলেন এনডিটিভির।
মেঘালয়ে ৩২০ ফুট গভীর গর্তে আটকে পড়লেন ১৩ জন, এখনও উদ্ধার করা যায়নি একজনকেও
এখানে রইল সাক্ষাৎকারের কিছুটা অংশঃ
এনডিটিঃ লন্ডন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কি আপনি উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন? আপনার নিজস্ব আইনি দলটি রয়েছে, সেখানেও কি তারাই থাকবে?
বিজয় মালিয়াঃ হ্যাঁ। আমার আইনি দলটি একই থাকবে। আর, উচ্চতর আদালতে যাওয়ার পথ তো সবসময়ই খোলা।
নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে ১০ বছর জেল
এনডিটিভিঃ আপনি যে আদালতের বাইরে একটি মিটমাট করতে চাইছেন, তা কি আরও আগে আসা উচিত ছিল না?
বিজয় মালিয়াঃ আমি ২০১৬ সালের শুরু থেকেই এই প্রস্তাব দিয়ে আসছি। কিন্তু ব্যাঙ্কগুলোকে বলে দেওয়া হয়েছিল, আমি যে প্রস্তাবই দিই না কেন, তা যেন তারা নাকচ করে দেয়। নইলে, সেক্ষেত্রে, ইডি বা সিবিআই আমাকে অভিযুক্ত প্রমাণ করতে পারবে না। আজ ইডি এবং ব্যাঙ্কগুলো মিলে আমার সম্পত্তির পিছনে পড়েছে। যে কারণে আমি কর্নাটক হাইকোর্টের কাছে মিটমাটের প্রস্তাবটি দিই।
এনডিটিভিঃ ভারত যে এখনও অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেনি, তাতে কি আপনি কিছুটা অবাক হয়েছেন?
বিজয় মালিয়াঃ অবশ্যই। ভারত তো অর্থ পুনরুদ্ধারের থেকেও আমাকে দেশে ফেরানো নিয়ে বেশি চিন্তিত।
এনডিটিভিঃ ললিত মোদী এবং নীরব মোদীও অর্থ জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত। তাঁদের উদ্দেশে কিছু বলার আছে আপনার?
বিজয় মালিয়াঃ ললিত এখন একটি ব্যক্তিগত শোকের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় আমি কোনও মন্তব্য করব না। আর, নীরব মোদীর ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
এনডিটিভিঃ আপনি বলেছিলেন ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় আপনাকে শিখণ্ডী করা হচ্ছে। কেন বলেছিলেন এই কথা? আরও অনেকেই এই ব্যাপারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, যাঁদের ব্যাপারে সরকার মাথাই ঘামাচ্ছে না, এমন কিছুই আভাস দিতে চেয়েছিলেন কি আপনি?
বিজয় মালিয়াঃ একদমই ঠিক বলেছেন। একেবারেই তাই।