গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন উদ্বেগ বাড়িয়েছে তাবড় দেশগুলোর। (প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) উদ্বেগ বাড়িয়েছে তাবড় দেশগুলোর। গলছে আলাস্কার বরফ, হিমালয়ের চূড়া। নির্বিচারে গাছ কাটা আর মানুষের বিলাস-ব্যসন জীবনযাত্রা এই উষ্ণায়নের নেপথ্যে। ফলে পরিবর্তিত হচ্ছে ঋতুচক্র। সেই পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যে দেখেছে পশ্চিম ইউরোপ আর রাশিয়া। ২০০৩ সালে পশ্চিম ইউরোপে জুড়ে গরমের (Tremedous Heat Wave) দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মানুষের প্রাণ। সেটাই ছিল ইঙ্গিত। কিন্তু সেই ইঙ্গিত থেকে শিক্ষা না নিয়ে এরপরেও চলেছে অবাধ বৃক্ষছেদন আর অপরিমিত জীবন যাত্রা। যার ফল ২০১০ সালে ভুগতে হয়েছিল রাশিয়াকে। সেই দহনে ইউরোপ ও রুশিয়া জুড়ে প্রায় হাজার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। কয়েক হাজার হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার সেই দাবদাহে পুড়তে পারে ভারতও (India)। এমনিতেই সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি গ্রীষ্মে (Summer) পশ্চিম ভারতের একটা বিস্তীর্ণ অংশ খরার প্রকোপে থাকে। ক্রমশ কমে আসছে বর্ষার মরশুম। ফলে প্রভাব পরে কৃষিকাজে। অতি-বৃষ্টি কিংবা অনাবৃষ্টি দেশের এখন নিত্য সমস্যা।
দিল্লি হিংসায় আক্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের জন্য এল সাহায্য
এবার সায়েন্টিফিক রিপোর্ট নামে এক পত্রিকার গবেষণায় দাবি, "ক্রমাগত জলবায়ুর পরিবর্তন গাঙ্গেয় স্থল্ভুমিতে প্রভাব ফেলতে পারে।দিনের বেলা বাড়তে পারে তাপমাত্রা।" ১৯৫১-৭৫ আর ১৯৭৬-২০১৮ পর্যন্ত জলবায়ুর গড় পরিবর্তনের হিসেব করে ওই গবেষণা দাবি করেছে, ১৯৫১-৭৫-এর মধ্যে গরমের সময়ে বৃষ্টির আধিক্য লক্ষণীয় ছিল। গাঙ্গেয় ভারতের বাইরের অংশ সেই বৃষ্টি অনুভব করত। কিন্তু ১৯৭৬-২০১৮-এর মধ্যে মে-জুনের মধ্যে তাপমাত্রা অত্যাধিক ছিল। গড়ে প্রায় ১০ দিন এই দাবদাহ সহ্য করতে হয়েছে। যা বিগত ১৫ বছর তুলনায় অর্থাৎ ১৯৫১-৭৫-এর হিসেবে প্রায় ২৫% বেশি তাপমাত্রা। সেই গবেষণায় দাবি, "১৯৭৬ সালে যে ব্যাপক জল্বায়ু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল, তা ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশে প্রভাব ফেলেছিল।
সেই সময় গরমের সময় বেশ ভালো বৃষ্টি হতো। কিন্তু সেই পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে শুরু করে। এরপর উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম অংশের তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেক বেড়ে যায়। দীর্ঘস্থায়ী হয় তাপপ্রবাহ।" আর এই দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহই ভারতের তাপমাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত, জানিয়েছে ওই গবেষণা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)