রাষ্ট্রসংঘের (UN) সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বক্তব্যের উপযুক্ত জবাব দিল ভারত। পাক প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের প্রথম সচিব বিদিশা মৈত্র বলেন, "ইমরান খানের বক্তব্য উস্কানিমূলক এবং ঘৃণা পূর্ণ ছিল।'' তিনি বলেন সেই ভাষণের মধ্যে ছিল ''মিথ্যা'', মৈত্র আরও বলেন, "পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের এই মঞ্চের অপব্যবহার করেছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি খুবই খারাপ এবং তাদের যথেষ্ট অত্যাচার সহ্য করতে হয়। ১৯৪৭ সালের তুলনায়, আজ পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পরিমাণ কয়েক শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। পাকিস্তান প্রকাশ্যে লাদেনকে রক্ষা করেছে। মানবাধিকার নিয়ে তাদের ভাষণ শুনতে চাই না।” এর আগে, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চ থেকে প্রায় ৫০ মিনিটের বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান খান পারমাণবিক যুদ্ধের নিন্দা করতে গিয়ে আসলে অর্ধেক সময়টাই কাশ্মীর ও ভারত নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। ইমরান খানের সব অভিযোগের জবাব দিয়েছে ভারত।
বিদিশা মৈত্র বলেছিলেন, "রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ইমরানের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক এবং যাঁরা নিজেরাই সন্ত্রাসের কারখানা চালাচ্ছে তাঁদের থেকে কোনো পরামর্শের দরকার নেই। রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত ১৫৫ জঙ্গি পাকিস্তানেই আত্মগোপন করে আছে। আর সেই পাকিস্তান মানবাধিকারের কথা বলছে।" বক্তব্য রাখার সময় ইমরান খান প্রসঙ্গে তিনি জানান, "তিনি একসময় ক্রিকেটার ছিলেন এবং ভদ্রলোকের খেলায় বিশ্বাস রাখতেন।অথচ আজ তাঁর বক্তব্য অশ্লীলতার শিখরে পৌঁছেছে, যা শুধু বন্দুকের কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।''
ইমরান খানের বক্তব্যের জবাবে ভারত তার 'রাইট টু রিপ্লাই' ব্যবহার করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, অবিলম্বে কাশ্মীরের 'অমানবিক কারফিউ' অপসারণ করা উচিত এবং সমস্ত আটক ব্যক্তিদের মুক্ত করা উচিত। ইমরানের বক্তব্য রাখার কিছুক্ষণ আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন, ইমরান ঠিক তার বিপরীত কথা বলেন। মোদি বলেন যে ভারত এমন একটি দেশ যা বিশ্বকে "যুদ্ধ নয় বুদ্ধ" দিয়েছে। ৫ অগাস্ট ভারত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করার পর থেকেই পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা করে চলেছে। তবে ভারত এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ ৩৭০ সমাপ্ত করার প্রসঙ্গে সেটিকে 'অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলেই অভিহিত করেছে।