ওই ভিডিওতে কিছু পুলিশকেও দেখা যায়। যদিও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকাতেই ছিলেন।
বেঙ্গালুরু: সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুক পোস্টে বিজেপির সমালোচনা করার জন্য ডানপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা হাঁটু মুড়ে বসিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে একজন অধ্যাপককে। এই ঘটনায় এবার পুলিশে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই অধ্যাপক। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমবি পাটিলের বাড়ির এলাকা বিজয়পুরাতে ঘটা এই ঘটনার কথা স্মরণ করে অধ্যাপক সন্দীপ ওয়াথার বলেন, “আমি একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এই সপ্তাহান্তে বাড়িতেই ছিলাম, দু'দিন আমার ছুটিও ছিল, বেশ নিরাপদে ছিলাম।"
অভিনন্দন সম্পর্কে ‘কুরুচিকর' পোস্ট শেয়ার করে সাসপেন্ড দুই আইনজীবী
যদিও অধ্যাপক সন্দীপ ওয়াথার (Sandeep Wathar) স্বীকার করেছেন যে, তাঁর পোস্টটিকে ‘অপমানজনক' বলে মনে করা যেতে পারে। তবে এটিই একমাত্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এমন ধরণের পোস্ট। তিনি বলেন, “আমি সত্যিই দেশবিরোধী কিনা তা দেখতে আমার পুরো ফেসবুক ইতিহাস দেখতে হবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমবি পাটিল এই অধ্যাপকেরই কলেজের পরিচালনা করেন। তিনি ঘটনাটিকে নিন্দনীয় বলে মনে করেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের নীতি পুলিশি কাজ করা উচিত নয়। পুলিশ আছে, আইন আছে। কেউ যদি ভারত বা আমাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু পোস্ট করে, তাহলে আমরা তদন্তের জন্য সুপারিনটেনডেন্টকে বলতে পারি।"
এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ওই অধ্যাপকের বরখাস্তের দাবি জানিয়ে চিৎকার করছে পড়ুয়ারা এবং সামনে হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছেন এই অধ্যাপক। ওই ভিডিওতে কিছু পুলিশকেও দেখা যায়। যদিও তাঁরা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকাতেই ছিলেন। অধ্যাপক সন্দীপ বলেন, “আমি ভীত নই, এবং আমি রেগেও নেই। আমি সেই সময়ে ক্ষমা চেয়েছিলাম... সেই পরিস্থিতিতে আর অন্য কোন উপায়ও ছিল না। আমি কলেজের উপর কোনও আঘাত আসুক তা চাইনি।”
ফিরে আসুক ঘন্টার সঙ্গে আজানের সুর, পুলওয়ামাতে মন্দির সংস্কারে হাত মেলালেন কাশ্মীরি মুসলিমরা
রাজ্য বিজেপি অবশ্য জাতীয়তাবাদকে দৃঢ় করার জন্য ছাত্রদের এমন আচরণের পক্ষেই সওয়াল করেছে। দলের নেতা বীরেন রেড্ডি বলেন, “এই সংকটের সময়ে আমাদের সেনা ও ভারতের জনগণের গভীর অনুভূতির বিষয় অধ্যাপককে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। পাকিস্তানের প্রশংসা বা ভারতের কোনও বিষয়কে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করতে আপনি পারেন না।"