২০১০ সালে গ্রেটার ম্যানচেস্টার থেকে টাইগার হানিফকে গ্রেফতার করেছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। (ফাইল)
লন্ডন: ১৯৯৩ সালে সুরাত জোড়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ছিল টাইগার হানিফ (Surat Blast Accused)। দাউদ ঘনিষ্ঠ (Dawood Aide) এই অপরাধীর প্রত্যর্পণ আবেদন ২০১৯-এ খারিজ করে ব্রিটিশ সরকার। ইউকে স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। যদিও ভারতের তরফে করা হানিফের প্রত্যর্পণ (Extradition request of Hanif) আবেদন খারিজের পিছনে ভূমিকা ছিল তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব পাক বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভেদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে সুরাত জোড়া বিস্ফোরণের প্রথমটা হয়েছিল বারাচা রোডে। সেই নাশকতায় এক কিশোরী প্রাণ হারিয়েছিল। দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয়েছিল সেই বছর এপ্রিলে সুরাত রেল স্টেশনে। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছিল, এই নাশকতার মূল চক্রী হানিফ তথা মহম্মদ হানিফ উমেরজি প্যাটেল। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুরোধে তাঁকে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের এক মুদির দোকান থেকে গ্রেফতার করেছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ধৃতের ওপর ছিল প্রত্যর্পণ আবেদন। লন্ডন আদালতে মামলা হারার পর স্বরাষ্ট্র সচিবের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হানিফ। তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলে অত্যাচারের মুখে পড়তে পারেন তিনি।
চতুর্থ দফার রাজ্যের কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় জেনে নিন
সেই আবেদনকে প্রাধান্য দিয়ে ২০১৯ সালে প্রত্যর্পণ আবেদন খারিজ করেন সাজিদ জাভেদ। রবিবার এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতর বলেছে, "আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি হানিফ প্যাটেলের প্রত্যর্পণ আবেদন খারিজ করেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব। এবিং আদালত হানিফ প্যাটেলকে ২০১৯-এর অগাস্টে মুক্তি দিয়েছে।" ২০১২-এর জুনে হানিফের প্রত্যর্পণে প্রথমে সায় দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব তথা প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এরপর আদালতে শুরু হয়েছিল সওয়াল-জবাব। তার পক্ষের আইনিজীবী সওয়াল করেছিলেন ভারতে তাঁর মক্কেলকে প্রত্যর্পণ করা হলে নির্যাতনের ঝুঁকি থাকবে।
পরিযায়ীদের জন্য ১,০০০ বাস নামানোর প্রিয়াঙ্কা গান্ধি আবেদন মঞ্জুর
এদিকে, ইন্দো-ইউকে প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে ভারত ক্যাটেগরি-২ রাষ্ট্র। এই ক্যাটেগরিতে প্রত্যর্পণের আগে স্বরাষ্ট্র সচিবের চূড়ান্ত অনুমোদন লাগে। পলাতক উদ্যোগপতি বিজয় মাল্যর প্রত্যর্পণ তাই এখন প্রীতি প্যাটেলের অনুমোদনের ওপর ঝুলে।