ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে জানানো হল।
নয়াদিল্লি: কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের পর ভারতের (India) সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। বৃহস্পতিবার ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে জানানো হল। বুধবার পাকিস্তান তাদের দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি ‘ফাইভ পয়েন্ট' পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে অন্যতম ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটানো ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করা। বিদেশমন্ত্রী এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা দেখেছি পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একতরফা পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'' ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত ‘‘অবশ্যই আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি আশঙ্কামূক ছবি ফুটিয়ে তুলছে।''
সরকারের জানাচ্ছে, ‘‘সম্প্রতি ৩৭০ ধারার যে পরিবর্তন হয়েছে তা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ভারতীয় সংবিধান ছিল, আছে এবং সর্বদা একটি সার্বভৌম বিষয় হয়ে থাকবে।''
অল ইন্ডিয়া রেডিওতে বিকেল ৪টেয় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘ভারত সরকার এবং সংসদের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নের সুযোগকে বাড়ানো, যা সংবিধানের একটি অস্থায়ী বিধানের কারণে আটকে ছিল। এর ফলে লিঙ্গগত এবং আর্থ-সামাজিক বৈষম্যও ঘুচবে। আরও আশা করা হচ্ছে, এর ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের সব মানুষের অর্থনৈতিক সক্রিয়তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোয়ার আসবে।''
ওই বিবৃতিতে এও বলা হয়, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই এই ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপকে পাকিস্তান ঋণাত্মক ভাবে প্রচার করবে। সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে এই সম্পর্কে কোনও আবেগকে কাজে লাগানো হতে পারে।
পাকিস্তানকে এব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে বলেছে ভারত, যাতে কূটনৈতিক যোগাযোগের স্বাভাবিক পথটা খোলা থাকে। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে আপিল করবে মোদি সরকারের জম্মু ও কাশ্মীরের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে ইমরান খানের বৈঠকের পর পাকিস্তান টুইট করে ওই পাঁচটি পয়েন্ট সকলের কাছে তুলে ধরে।