This Article is From Aug 09, 2019

"বাস্তবকে মেনে নেওয়ার সময় এসেছে পাকিস্তানের" কাশ্মীর ইস্যুতে বলল ভারত

পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে, প্রতিক্রিয়া স্বরূপ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্থগিত করেছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করেছে।

ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা বন্ধ করুক পাকিস্তান, বলল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক।

নয়া দিল্লি:

পাকিস্তানের (Pakistan) উচিত বাস্তবতা মেনে নেওয়া এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফ জানাল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং এই রাজ্যকে (Jammu and Kashmir) দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ভারত (India) কাশ্মীর সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে অন্যান্য দেশের কাছেও পৌঁছেছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) জন্য বিশেষ মর্যাদার অবসান এবং ওই রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার কেন্দ্রের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসলামাবাদ একটি পাঁচ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করে। সোই সময়েই তারা জানায় যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হ্রাস (Downgrading of ties) করবে তারা। এমনকি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কার করে পাকিস্তান, ফলে দু'দেশের সম্পর্কের বর্তমানে চরম অবনতি হয়েছে।

সমঝোতার পর এবার থর এক্সপ্রেস, কাশ্মীর ইস্যুর প্রতিবাদে পাকিস্তানের পদক্ষেপ

ভারত (India) পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পর তাদের কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্কের অবমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার জন্য আবেদন জানায়। পাশাপাশি ভারতের তরফ থেকে এও দাবি করা হয় যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে আসলে পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করছে।

শুক্রবার, পাকিস্তান সরকার জানায় যে, থর এক্সপ্রেস, যে ট্রেনটি ভারতের সঙ্গে রেলপথে সংযোগ রক্ষা করে তা বন্ধ রাখবে, এর একদিন আগেই তারা সমঝোতা এক্সপ্রেসও বন্ধ করে দিয়েছিল, যা পাকিস্তানের লাহোরের সঙ্গে রাজধানী দিল্লিকে যুক্ত করেছিল।

"আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পাকিস্তান (Pakistan) ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে কিছু একতরফা ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে," প্রতিক্রিয়ায় জানান কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার। আসলে পাকিস্তান চাইছে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করে বিশ্বের দরবারে উদ্বেগ তৈরি করতে, এ কথাও জানান তিনি।

"৩৭০ ধারা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলি পুরোপুরি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের সংবিধান সবসময়েই সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের চেষ্টা কখনও সফল হবে না,", সাফ জানায় বিদেশমন্ত্রক।

সিমলা চুক্তি স্মরণ করিয়ে কাশ্মীর নিয়ে "সর্বাধিক সংযমের" আহ্বান জানাল রাষ্ট্রসঙ্ঘ

"ভারতের সরকার (India) ও সংসদ কর্তৃক সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উন্নয়নের সুযোগগুলিকে প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়, যা এর আগে সংবিধানের ওই অস্থায়ী বিধানের কারণে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছিল। এর ফলে লিঙ্গ এবং আর্থ-সামাজিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছিল। এই ধারা রদের ফলে ভবিষ্যতে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত মানুষের জীবিকা নির্বাহের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও উন্নতির ফলস্বরূপ প্রত্যাশা করা হচ্ছে।", বলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি এবং এটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের  কাছে আবেদন জানাবে বলেও জানিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আগেই সতর্ক করেছিলেন যে কাশ্মীরের এই পদক্ষেপের "গুরুতর প্রতিক্রিয়া" হবে।

ইমরান খানের পাকিস্তানের (Pakistan) জাতীয় সুরক্ষা কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর একটি টুইটে ইসলামাবাদ  পাঁচ দফা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস এবং দ্বিপক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত রাখার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

.