Read in English
This Article is From Jul 01, 2019

পাঁচ বছরে সবচেয়ে শুখা মরশুম দেশে! ক্ষতির আশঙ্কা কৃষি, অর্থনীতিতে

বর্ষা দেরিতে ঢোকায় গত পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে শুখা মরশুম গেছে জুন মাস। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

এবছর একটু দেরিতে ৮ জুন বর্ষা কেরলে প্রবেশ করেছে

Highlights

  • আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে কিছু রাজ্যের গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এক তৃতীয়াংশের
  • দেশের খুব কম অংশেই এখনও পর্যন্ত বৃ্ষ্টিপাত হয়েছে
  • বর্ষার দেরিতে শুরু হওয়ায় বীজ বুনতেও দেরি হয়েছে
মুম্বই:

বর্ষা দেরিতে ঢোকায় গত পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে শুখা মরশুম (Driest June) গেছে জুন মাস জুড়ে। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন (India Meteorological Department)। একই সঙ্গে আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, এভাবে অপর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে এর ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে দেশের কৃষিব্যবস্থা (Crops) ও বৃহত্তর অর্থনীতির (Economy) ওপর। দফতর সূত্রে খবর, গত জুনে দেশে যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার প্রযোজন ছিল তার মাত্র এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়েছে।

এইবছর রাজ্য থেকে ১ কোটি সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ বিজেপির; দিলীপ ঘোষ

এদিকে দেশের অর্ধেকেরও বেশি আবাদযোগ্য জমির ফলন বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল। তাই চলতি মরশুমে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি কম হওয়ায় ইতিমধ্যেই এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ভারতের অর্থনীতিতে মন্দার ছাপ পড়েছে। হাওয়া অফিসের কথায়, সাধারণত জুলাই থেকে পুরোপুরি বর্ষা ঢুকে পড়ে দেশে। কিন্তু, এবছর ঢুকতে দেরি করায় এবং এখনও দেশের বেশির ভাগ রাজ্যে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ না করায় পরিমাণমতো বৃষ্টি হচ্ছে না।

Advertisement

একই সঙ্গে আবহাওয়াবিদদের সতর্কবার্তা, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হলে ভেঙে পড়বে দেশের কৃষি ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। কারণ, আমাদের দেশ কৃষিনির্ভরশীল। ইতিমধ্যেই জলের অভাবে চাষবাস বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন অনেক কৃষক। ফসল নষ্ট হওয়ায় ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন অনেকেই। ক্ষতির মুখ দেখছে ট্রাক্টর এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলিও।

প্রসঙ্গত, ৮ই জুন অর্থাত নির্দিষ্ট সময়ের থেকে প্রায় এক সপ্তাহ দেরিতে এবছর কেরালায় প্রথম বৃষ্টিপাত হয়। আরব সাগরে সৃষ্ট সাইক্লোন বায়ুর জন্যেই থমকেছিল বৃষ্টি, মত আবহাওয়াবিদদের। কারণ, এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমী বায়ু থেকে আর্দ্রতার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বাধা হয়ে দাঁড়ায় বায়ু প্রবাহেও। পাশাপাশি, আশার কথাও শুনিয়েছে মৌসম ভবন। ভারতের পশ্চিম ও কেন্দ্রীয় অংশগুলিতে মরশুমের প্রথমার্ধে ভাল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তর ভারতে গড় বৃষ্টিপাত কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের এক অফিসার। তাঁর কথায়, জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। তবে মধ্য ও পশ্চিম ভারতে বৃষ্টিপাত হ্রাস পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ভারতে যে পরিমাণ গড় বৃষ্টিপাত হয় এবছর তার থেকে ৩৩ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে জুনে। 

Advertisement

Doctor's Day: ডাক্তারদের হেনস্থা ও হরতাল ছাপ রাখল জাতীয় চিকিৎসক দিবসের থিমেও!

এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড বলছে, ২০১৪-র জুনে ৪২ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছিল। জুন-সেপ্টেম্বরে বৃষ্টিপাতের হার ছিল ১২ শতাংশ কম। বর্ষা দেরিতে আসায় বীজ রোপণ এবং কৃষিকাজে দেরি হয়ে গিয়েছিল কৃষকদের। এবছরের ২৮ জুন পর্যন্ত ১৪.৭ মিলিয়ন হেক্টর ফসল উৎপন্ন হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম।

Advertisement

Advertisement