Read in English
This Article is From Jan 28, 2020

পাকিস্তানে হিন্দু তরুণীর অপহরণের ঘটনায় পাক কূটনীতিককে তলব কেন্দ্রের

ওই তরুণীকে তাঁর বিয়ের আসর থেকে অপহরণ করে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। তারপর তাঁর ধর্মান্তরণ করে তাঁর সঙ্গে এক পাকিস্তানির বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকারের দায়িত্ব হিন্দু সম্প্রদায় সহ সেদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

Highlights

  • হিন্দু তরুণীর অপহরণের ঘটনায় পাক কূটনীতিককে তলব করল কেন্দ্র
  • ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে ভারত
  • পাকিস্তান সরকারের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে দ্রুত ওই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য
নয়াদিল্লি:

পাকিস্তান (Pakistan) দূতাবাসের এক সিনিয়র কূটনীতিককে মঙ্গলবার তলব করল কেন্দ্রীয় সরকার (India Summons Pak Diplomat)। দু'দিন আগে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হালা শহরে এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে এক হিন্দু তরুণীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠার পর সেই প্রেক্ষিতেই পাক কূটনীতিককে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ২৪ বছরের ওই তরুণীকে স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের সহায়তায় অপহরণ করা হয়েছে। সূত্রানুসারে, তরুণীর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার আগেই  পাকিস্তানের ব্যক্তির সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়ে যায়। শনিবার ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার নিন্দা করে কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে দ্রুত ওই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য।

সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকারের দায়িত্ব হিন্দু সম্প্রদায় সহ সেদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

‘অল পাকিস্তান‌ হিন্দু কাউন্সিল' জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম ভারতী বাই। তাঁকে তাঁর বিয়ের আসর থেকে অপহরণ করে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। তরুণীর ধর্মান্তরণ করে তাঁর সঙ্গে শাহরুখ গুল নামে এক ব্যক্তির বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়, ওই তরুণী ডিসেম্বরেই ধর্মান্তরিত হন। তাঁর নতুন নাম হয় বুশরা।

পাকিস্তানের জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ হিন্দু। সেই হিন্দু জনসংখ্যার অধিকাংশই সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার সময় সরকারের তরফে তথ্য দিয়ে জানানো হয়, পাকিস্তানে কী পরিমাণে নিগ্রহের শিকার হতে হয় হিন্দুদের।

Advertisement

এর আগে এমাসেই, এক ১৫ বছরের হিন্দু কিশোরীকে সিন্ধ প্রদেশের জেকোবাবাদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করিয়ে বিয়ে করেন এক মুসলিম ব্যক্তি। এছাড়াও ১৪ জানুয়ারি আরও দু'টি অপহরণের ঘটনা সামনে আসে। 

Advertisement