পাকিস্তান নীচু হলেও ভারত উঁচুতেই উড়বে, জানিয়ে দিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত সঈদ আকবরউদ্দিন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ: আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসঙ্ঘের (UN) সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে পাকিস্তান (Pakistan) যদি কাশ্মীর (J&K) ইস্যু তুলবার চেষ্টা করে ভারত তার নিজের অবস্থান থেকে সরবে না। পাকিস্তান নীচু হলেও ভারত উঁচুতেই উড়বে। অধিবেশনের আগে একথা জানিয়ে দিল ভারত। ২৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে ওই অধিবেশন হওয়ার কথা। পাক প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়ে রেখেছেন, তাঁরা কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করত চলেছেন সেখানে। পাক বিদেশমন্ত্রী মেহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন, ইমরান খানও আন্তর্কাজিতক মঞ্চে প্রবল ভাবেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ওইদিন বক্তব্য রাখবেন। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সঈদ আকবরউদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিউ ইয়র্কের অধিবেশনে কি কাশ্মীর তুলতে পারে পাকিস্তান? আর যদি তোলে সেক্ষেত্রে ভারত সেটা কীভাবে মোকাবিলা করবে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠক, প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরে
উত্তরে সঈদ জানান, ‘‘আপনারা আমার কাছে যা বলছেন, মোটামুটি সেটাই হবে। একটা দেশের পক্ষে তার থেকেও বেশি কিছু হবে। যদি তেমন হয় আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হবে? প্রতিটা দেশই ভেবে রাখে বিশ্ব মঞ্চে সে নিজেকে কীভাবে তুলে ধরবে। হয়তো কেউ কেউ নীচু হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রতিক্রিয়া হল আমরা উঁচুতে উড়ব। ওরা নীচু হতে পারে, আমরা উঁচুতেই উড়ব।''
'হাউদি মোদি'-র উপর বৃষ্টির ভ্রূকুটি! হাউস্টনে লাগাতার বৃষ্টিতে বাড়ছে চিন্তা
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আত্মবিশ্বাসী আমরা উঁচুতে উড়ব। আমি আপনাদের উদাহরণ দিতে পারি কী করে আমরা নীচু হব না। আমরা উড়ব, ওরা যতই নীচু হোক।''
সঈদ জানিয়ে দেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার কোন কোন বিষয়ে থাকবে। তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী বহুমুখী, বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক নানা বৈঠকে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘‘ওরা কী করবে সেটা ওদের ব্যাপার। আমরা ওদের সন্ত্রাসবাদকে প্রাধান্য দিয়েছে। এবার ওরা হয়তো ঘৃণার ভাষণকে প্রাধান্য দেবে। সেটা তাদের ব্যাপার, তারা যা চাইবে। বিষ উগরে দেওয়াটা বেশিদিন কাজ করে না।''
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পদক্ষেপ করে ভারত। তারপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হেঁটেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।
ভারত কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে দাবি করলেও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আঙিনায় বারবার এর বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করতে চেয়েছে। ভারতও পাকিস্তানকে জানিয়েছে সত্যিটা মেনে নিয়ে ভারত-বিরোধী মানসকিতাকে ত্যাগ করতে।