தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Nov 04, 2019

উদ্বেগের মধ্যে এশিয়ান বাণিজ্যচুক্তিতে যোগ দেবে না ভারত: সূত্র

ভারত জোর করেই বিষয়টি তুলেছে যে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, দেশে কম দামী চিনা কৃষিজ ও শিল্প সামগ্রিতে ভরে যাবে দেশের বাজার

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

ভারত “পারষ্পরিক সুবিধাযুক্ত চুক্তি চেয়েছে, যাতে দুপক্ষই উপকৃত হয়”

নয়াদিল্লি:

১৬টি দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি বা রিজিওনাল কম্প্রিহেনসন ইকোনমিক পার্টনারশিপে  (Regional Comprehensive Economic Partnership or RCEP) যোগ দেবে না ভারত, ১৬টি দেশের মধ্যে অবাধ বাণিজ্যের চুক্তি এটি, সরকারের একটি শীর্ষ সূত্র মারফৎ একথা জানতে পেরেছে NDTV।  তবে ভারত “পারষ্পরিক সুবিধাযুক্ত চুক্তি চেয়েছে, যাতে দুপক্ষই উপকৃত হয়”, তারমধ্যে রয়েছে বাজারে পৌঁছানো এবং শুল্ক। ভারত জোর করেই বিষয়টি তুলেছে যে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, দেশে কম দামী চিনা কৃষিজ ও শিল্প সামগ্রিতে ভরে যাবে দেশের বাজার। ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য উদ্বেগের মধ্যেই ভারত ছাড়াই, একটি অস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে যোগদানকারী ১৬টি দেশ।

আসিয়ান বাণিজ্য চুক্তির জন্য কোনও "শেষ মুহূর্তের দাবি" রাখছে না ভারত

 আগামী বছর এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেন, এই চুক্তির বর্তমান অবস্থায়, ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়নি।  দেশের কৃষক, ব্যবসায়ী, পেশাদার, এবং শিল্প, ও কর্মী ও ক্রেতাদের কথা  তুলে ধরে তিনি বলেন, “সমস্ত ভারতীয়ের পক্ষে যখন আমি এই চুক্তির মূল্যায়ন করি, আমি কোনও ইতিবাচক উত্তর পাইনি। ফলে,  না গান্ধিজির আদর্শ না আমার নিজের বিবেক, কেউই চুক্তির পক্ষে মত দেয়নি”।

Advertisement

ভারত জোর করেই বিষয়টি তুলেছে যে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, দেশে কম দামী চিনা কৃষিজ ও শিল্প সামগ্রিতে ভরে যাবে দেশের বাজার। সপ্তাহান্তে, আশিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন চুক্তির অন্তভুক্ত ১৬টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী, ব্যাকচ্যানেলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হন তাঁরা।

আসিয়ান বাণিজ্য চুক্তি RCEP হবে বিশ্বের বৃহত্তম: ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Advertisement

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রথমদিন থেকেই ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ  প্রকাশ করেছে ভারত। তারমধ্যে রয়েছে আমদানিবৃদ্ধি, বাণিজ্য ঘাটতি, দেশীয় শিল্পকে বাঁচানোর মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা না পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরে ভারত।

চুক্তি নিয়ে বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ, তাদের উদ্বেগ, এর ফলে সস্তা চিনা সামগ্রিতে বাজার ভরে যাবে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রা লেখেন, “ভারত ব্যাপক আর্থিক মন্দার মুখোমুখি। বিজেপির ৬ বছরের শাসনে ইতিমধ্যেই ৯০ লক্ষ কর্মসংস্থান কমেছে। আরও বেশী করে এই সংখ্যাটা বাড়াবে এই চুক্তি (RCEP)। এই চু্ক্তির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সবচেয়ে খারাপ সময় ভারতের”।

Advertisement