মিসাইলের একটি ভারতের মিগ ২১ বাইসনে গিয়ে লাগে
হাইলাইটস
- স্ট্রাইকের সময় পাকিস্তান এএমআরএএম মিসাইল ব্যবহার করেছিল
- সেই মিসাইলের একটি ভারতের মিগ ২১ বাইসনে গিয়ে লাগে
- সেটিতে ছিলেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান
নিউ দিল্লি: জঙ্গিদের খতম করতে দেওয়া মিসাইল ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। সেনার তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে। ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান গতকাল সন্ধ্যায় বিবৃতি দেন। তাঁদের দাবি স্ট্রাইকের সময় পাকিস্তান এএমআরএএম (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম- রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল) ব্যবহার করে। সেটি যে ব্যবহার হয়েছিল তার প্রমাণও দেন সেনা কর্তারা। তাঁরা জানান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে এই শর্তে আমেরিকা মিসাইল গুলি পাকিস্তানকে দিয়েছিল। সেই মিসাইলের একটি ভারতের মিগ ২১ বাইসনে গিয়ে লাগে। সেটিতে ছিলেন অভিনন্দন বর্তমান। বাধ্য হয়ে তাঁকে বিমান থেকে বেরিয়ে আসতে হয়। আর সেই সুযাগে ভারতীয় বায়ু সেনার এই উইং কমান্ডারকে বন্দি করে পাকিস্তান।
এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে মমতা ব্যানার্জি তুলেছেন প্রশ্ন: দেশ জানতে চায় জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার ফলে কতজন মারা গেছে?
পাশাপাশি পাকিস্তানের দাবি উড়িয়ে ভারত জানায় পাক বাহিনী মানুষ মারতেই চেয়েছিল। পাকিস্তান আরও বলেছিল এফ ১৬ বিমান তারা ব্যবহার করেনি কিন্তু ভারতীয় সেনার দাবি সেটাই ভেঙে পড়েছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে এই প্রথমবার যৌথ বিবৃতিতে স্থল সেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা। তাতে বলা হয় পাকিস্তানের থেকে যে কোনওরকম প্ররোচনার জবাব দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ভারত। মেজর জেনারেল সুরেন্দ্র সিং মহল বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনীকে টার্গেট করেছে পাকিস্তান। তারা উত্তেজনা তৈরি করেছে। তারা যদি আমাদের আরও প্ররোচনা দেয়, আমরা চরম প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি”।
আগে ঠিক ছিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বিবৃতি দেওয়া হবে। এরই মাঝে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, শান্তির বার্তা হিসেবে অভিনন্দন বার্তমানকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় ২ ঘন্টা পিছিয়ে যায় বিবৃতি।
মেজর জেনারেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বুধবার জম্মু কাশ্মীরের একটি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, একটি ব্যাটেলিয়ন হেডকোয়ার্টার এবং একটি লজিসটিক্স ইনস্টলেশনকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান।