নিজের স্ত্রী ও দুই ছেলেকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রবাসী চন্দ্রশেখর সুনকারা।
হাইলাইটস
- এক প্রবাসী ভারতীয় স্ত্রী ও দুই ছেলেকে মেরে আত্মঘাতী হলেন।
- পুলিশ পরিবারের বাকিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
- তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে।
ওয়াশিংটন: এক ৪৪ বছরের প্রবাসী (Indian-American) ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী নিজের স্ত্রী ও দুই ছেলেকে খুন করে নিজে আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে। ওয়েস্ট ডেস ময়নেস পুলিশ বিভাগ, যারা এই ব্যাপারে তদন্ত করছে, তারা রবিবার ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্তে এসেছে। শনিবার সকালে চন্দ্রশেখর সুনকারা, লাবণ্য সুনকারা (৪১) ও তাঁদের দুই ছেলে যাদের বয়স ১৫ বছর ও ১০ বছর— সকলের দেহ পাওয়া গিয়েছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায়। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই বাড়িতে আরও চারজন আত্মীয় অতিথি হিসেবে থাকেন। তাঁদের মধ্যে দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক ও দু'জন শিশু। চন্দ্রশেখর ও বাকিদের দেহগুলি আবিষ্কারের পরে ওই আত্মীয়দের একজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে যান। তিনি একজন পথচলতি ব্যক্তিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানান। ওই ব্যক্তি ৯১১-তে ফোন করেন।
মেজরের মৃত্যুর পরের দিনেই সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ ভারতীয় জওয়ান
পুলিশ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘মৃতদেহ দেখে বোঝা গিয়েছে, লাবণ্য সুনকারা ও তাঁর দুই ছেলেকে খুন করা হয়েছে। চন্দ্রশেখর সুনকারার মৃত্যুর ভঙ্গি থেকে পরিষ্কার তিনি আত্মহত্যা করেছেন।''
পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ‘‘রাজ্য মেডিক্যাল আধিকারিকের দফতর নিশ্চিত করে বলেছে, ওই পরিবারের চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে।''
‘‘আধিকারিকরা পরিবারের বাকিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। গোয়েন্দারা প্রমাণ খুঁজছেন ও কথাবার্তা বলছেন'' পুলিশ জানিয়েছে।
চন্দ্রশেখর, যিনি চন্দ্র নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। আইওয়ার জন নিরাপত্তা বিভাগ (DPS) জানাচ্ছে তিনি একজন তথ্যপ্রযুক্তির কর্মী ছিলেন টেকনোলজি সার্ভিসেস ব্যুরোতে। DPS এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘আমাদের হৃদয় ও প্রার্থনা সুনকারাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে রয়েছে।''
ওয়েস্ট ডেস ময়নেস পুলিশ বিভাগের আধিকারিকরা শনিবার সকালে ৬৫ নম্বর স্ট্রিটএর ৯০০ ব্লকে পৌঁছন। সেখানেই তাঁরা দেহগুলি উদ্ধার করেন। ওই বিভাগের সার্জেন্ট ড্যান ওয়েড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী যাঁরাই এই পরিবারকের জানতেন, তাঁদের মধ্যে প্রভাব পড়বে।''
মৃত সেনার চার বছরের ছেলেকে কোলে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জওয়ান
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। প্রমাণ খুঁজে যতটা বোঝা যায় সেভাবে আমরা অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী, ওই সম্প্রদায়ের উপরে কোনও বিপদের ঝুঁকি নেই।''
আইওয়া ডিভিশন অফ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন তদন্তে সহায়তা করছে।
সুনকারাদের বহু দিন ধরে চেনেন শ্রীকার সোমায়াজুলা। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘ভারতীয় পরিবারে আপনি এমন ঘটনা দেখতে পাবেন না। এমন জঘন্য ঘটনা বড় একটা ঘটে না। ওই পরিবারটি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, তাই এটা সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরের থেকে আমাদের প্রশ্ন বেশি এই মুহূর্তে। কেন এমন ঘটল? এবং আমরা সম্ভবত কখনও জানতে পারব না কেন এমন ঘটেছিল।''