This Article is From Aug 04, 2019

‘কাশ্মীর থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই ভারত অনুপ্রবেশের প্রচার চালাচ্ছে’, দেহ নিতে অস্বীকার করে দাবি পাকিস্তানের

সেনা সূত্র জানাচ্ছে, ‘‘এর থেকে জঙ্গি সক্রিয়তায় পাকিস্তানের জটিলতার পরিষ্কার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় সব রকমের অসাধু কার্যকলাপকে এভাবেই উত্তর দেবে।''

‘কাশ্মীর থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই ভারত অনুপ্রবেশের প্রচার চালাচ্ছে’, দেহ নিতে অস্বীকার করে দাবি পাকিস্তানের

ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত পাঁচ অনুপ্রবেশকারী (ফাইল)

হাইলাইটস

  • কেরান সেক্টরে ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত পাঁচ পাক অনুপ্রবেশকারী
  • তাদের দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানকে জানাল ভারত
  • পাকিস্তান এখনও কোনও সাড়া দেয়নি
নয়াদিল্লি/ শ্রীনগর:

পাকিস্তানের(Pakistan) বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT)-এর পাঁচজন ভারতে প্রবেশ করে কেরান সেক্টরে হামলার ছক কষেছিল। উদ্ধার করা হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের দেহ। সেগুলি সাদা পতাকার সঙ্গে এসে পাকিস্তানকে নিয়ে যাওযার কথা জানায় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। প্রথমে সাড়া না দিলেও, পরে জবাব দেয় ইমরান খানের দেশ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী(Pak Army) অবশ্য বলেছিল যে এটি "নিছক প্রচার" (mere propaganda) এবং ভারত "কাশ্মীরের পরিস্থিতি থেকে বিশ্বের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে"। সেদেশের পররাষ্ট্র দফতরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘আনাদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণরেখা পারের ভারতের যে অভিযোগ তা প্রত্যাখ্যান করছি।' নিহতদের দেহ নিতেই অস্বীকার করে তারা। কাশ্মীর(Kashmir) নিয়ে বিশ্বমঞ্চে কোণঠাসা পাকিস্তান। ভারতের আবেদন মেনে দেহ নিতে রাজি হলে স্পষ্ট হবে অনুপ্রবেশকারীরা পাকিস্তানের লোক। ফের প্রমাণ হবে সন্ত্রাসে মদত দেওযার পাক যোগ। তাই দেহ না নিতে অস্বীকার বলে মনে করা হচ্ছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) কেরান সেক্টরে (Keran sector) ভারতীয় সেনার (Indian Army) গুলিতে নিহত হয় পাঁচ পাক অনুপ্রবেশকারী। এর আগে তাদের দেহ  ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানকে জানায় ভারত। শনিবার ভারতীয় সেনা জানিয়েছিল, পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT)-এর পাঁচজন ভারতে প্রবেশ করে কেরান সেক্টরে হামলার ছক কষেছিল। পাকিস্তানি আর্মি সাদা পতাকার সঙ্গে আগের বার গুলিতে নিহত দেহগুলি নিয়ে গিয়েছে। এবারও সেভাবেই দেহ নিয়ে যাওযার কথা জানায় ভারত।

কেরান সেক্টর দিয়ে পাক অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশের চেষ্টা রুখল সেনা, নিহত পাঁচ

সূত্রানুসারে কেরান সেক্টরে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর গোলাগুলি চলে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ওই অনুপ্রবেশকারীদের দেহ সীমান্তরেখায় ভারতের দিকে পড়ে ছিল।

গত দু'দিনের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। জঙ্গি হানার আশঙ্কায় কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তার বাতাবরণে অমরনাথের (Amarnath) পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এরই মধ্যে এই খবর পাওয়া যায় আতঙ্ক বাড়ে উপত্যকায়।

সেনা সূত্র জানাচ্ছে, ‘‘এর থেকে জঙ্গি সক্রিয়তায় পাকিস্তানের জটিলতার পরিষ্কার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় সব রকমের অসাধু কার্যকলাপকে এভাবেই উত্তর দেবে।''

তবে সূত্রানুসারে অমরনাথের তীর্থযাত্রীদের উপরে হামলার কোনও খবর গত দু'দিনে পাওয়া যায়নি। সুরক্ষা অভিযানে জৈশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) চার জঙ্গি খতম হয়েছে। একটি স্নাইফার রাইফেল, বিস্ফোরক আইইডি এবং মাইন পাওয়া গিয়েছে, যাতে পাকিস্তানের ছাপ রয়েছে। শুক্রবারই সতর্কতা জারি করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। সরকার সমস্ত তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

গোয়েন্দা বাহিনী জানিয়ে দিয়েছিল, তাদের কাছে পাকা খবর রয়েছে পাক সেনার মদতপুষ্ট জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় হাম‌লা করার পরিকল্পনা করছে। যাত্রাপথে একটি স্নাইফার রাইফেল ও ল্যান্ডমাইন পাওয়া গিয়েছে।

এই সতর্কতা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে আধা সামরিক সেনার সংখ্যা বাড়ানোয় নানা রকমের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্র রাজ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে জম্মু-কাশ্মীরকে দেওয়া সংবিধানের বিশেষ অধিকার ৩৫-এ ধারা বিলোপ করতে চাইছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়ে দিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রাপ্ত রাজ্যের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' বদলানোর কোনও সম্ভাবনা নে ই। তবে তাঁর কথাতে আশ্বস্ত নন রাজ্যের রাজনীতিবিদরা।

.