This Article is From Oct 20, 2019

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধ্বংস ৩টি জঙ্গিঘাঁটি, নিহত ৬-১০ পাক সেনা: সেনাপ্রধান

Indian Army artillery strikes: সূত্রের খবর, তাংধার সেক্টরের বিপরীতে জঙ্গিদের চারটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কামান হানায়

Indian Army artillery strikes: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কামান হানায় চারটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে ভারতীয় সেনা

হাইলাইটস

  • পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) জঙ্গি শিবিরে হানা দিল ভারতীয় সেনা
  • চারটি জঙ্গি শিবির ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে
  • সূত্রানুসারে চার থেকে পাঁচ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে
নয়াদিল্লি:

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Pakistan-occupied Kashmir) রবিবার সেনাবাহিনীর হানায় তিনটি জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং নিহত হয়েছে ৬ থেকে ১০ জন পাকিস্তানী সেনা, এমনটাই জানালেন ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত (Army Chief General Bipin Rawat)। তিনি জানান, তাংধার সেক্টরে পাকিস্তানের সীমান্তে গুলিবর্ষণের পাল্টা এই হামলা চালানো হয়, জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল তারা। সূত্রের খবর, তাংধার সেক্টরের বিপরীতে নীলম উপত্যকায় জঙ্গিদের চারটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কামান হানায়। সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের জন্য তাংধার সেক্টরে পদক্ষেপ করে। আমরা তার জবাব দিই। পাকিস্তান হামলা চালায়, আমাদের ছাউনিতে গুলি চালায়, যাতে  আমরা ভুক্তভোগী হই, তবে তাদের অনুপ্রবেশের আগে”।

কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনার গুলি, নিহত তিন

তিনি বলেন, “ঠিক হয়েছিল যে, নিয়ন্ত্রণরেখায় আমরা জঙ্গিঘাঁটিকে টার্গেট করব। এই ক্যাম্পগুলির তথ্য ছিল আমাদের কাছে। জঙ্গিদের ঘাঁটিতে আমরা প্রচুর ক্ষতি করে দিয়েছি”। সেনাপ্রধানের কথায়, “৬ থেকে ১০ জন পাকিস্তানী সেনা নিহত হয়েছে, ৩টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে”।

সূত্রের খবর, অপ্ররোচিত গুলিবর্ষণের ফলে, ভারতের তরফে জঙ্গিদের ঘাঁটি এবং ওই লঞ্চপ্যাডগুলিকে রক্ষা করা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ছাউনিতে শক্তি বাড়িয়ে হামলা চালানো হয়। সূত্রের খবর, যদি পাকিস্তানী সেনা লাগাতার জঙ্গি কার্যকলাপে সহায়তা করতে থাকে, তাহলে সেনাবাহিনী তাদের ইচ্ছে এবং সময় অনুযায়ী, জবাব দেবে।

আপেল বিক্রেতাকে গুলি করে হত্যা করল জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিরা

পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদের হামলার পর জঙ্গিঘাঁটিতে শেষবার হামলা চালায় ভারত। সেবার বালাকোটে জইশের ঘাঁটি বিমানহানা হালানো হয় ভারতের তরফে। ২০১৬-এ নিয়ন্ত্রণরেখায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত।  

এদিনের হানাকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা বালাকোটের বিমানহানার সঙ্গে তুলনা করা যায়  না বলে জানিয়ে সূত্র জানিয়েছে, এটা ছিল, “গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি”, যা পাকিস্তানী সেনাকে পাঠানো একটি “শক্তিশালী ইঙ্গিত”।

পাকিস্তানের আর্টিলারি অবস্থানকে তোপ দেগে, একটি সূত্র জানায়, “পরিষ্কার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, গোপন অবস্থানে নজর রাখা হচ্ছে এবং তারা জঙ্গিদের সমর্থন করলে টার্গেট করা হবে”।

জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে নিহত শ্রমিক: সংবাদ সংস্থা পিটিআই

পরে সূত্র জানায়, জঙ্গিদের ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল জঙ্গিঘাঁটিগুলি, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কেন্দ্রের পদক্ষেপের পর থেকে সেখানে অশান্তি পাকানোর পাকিস্তানের প্রচেষ্টারই এটা একটি পদক্ষেপ। সেনাবাহিনী জানায়, এই সমস্ত বেশীরভাগ চেষ্টাই ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে, তবে কয়েকজনের ঢুকে থাকার সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।

কাশ্মীর সমস্যাকে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান, যদিও এখনও পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

জম্মু ও কাশ্মীরে ট্রাক চালককে হত্যা, বাগান মালিককে মারধর করেছে জঙ্গিরা, জানাল পুলি

সেপ্টেম্বরে, পঞ্জাবে অস্ত্রবর্ষণ করে পাকিস্তান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায় ৮টি ড্রোন সনাক্ত করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সনাক্ত না করা ড্রোনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

প্রত্যেকটা সনাক্ত করা ড্রোন ১০ কেজি ওজনের প্যাকেট ফেলেছে, যাতে থাকতে পারে অস্ত্র, বিস্ফোরক অথবা যোগাযোগ সম্পর্কিত সামগ্রি, যেমন সেল ফোন বা স্যাটেলাইট ফোন, এমনটাই জানানো হয়েছে রিপোর্টে।

গত মাসে কেন্দ্র জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২,০৫০ বার অপ্ররোচিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান, যাতে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।

.