মঙ্গলবারই জেনারেল বিপিন রাওয়াতের স্থলাভিষিক্ত হন নতুন সেনাপ্রধান এমএম নারাবানে।
নয়াদিল্লি: নতুন সেনাপ্রধান এমএম নারাবানে (MM Naravane) জানালেন, চিনা সীমান্তে সমস্যার (China Border issue) সমাধানে দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে বদ্ধপরিকর সেনাবাহিনী। তিনি আশা প্রকাশ করলেন, চিন সীমান্তের সমস্যার স্থায়ী সমাধান ঘটিয়ে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হবে। মঙ্গলবারই জেনারেল বিপিন রাওয়াতের স্থলাভিষিক্ত হন নতুন সেনাপ্রধান এমএম নারাবানে। পাকিস্তান সম্পর্কে কড়া মনোভাব ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘরে হামলা চালানোর পূর্ণ অধিকার আমাদের আছে।'' তবে তিনি বলেন দেশের পশ্চিম সীমান্তে নজরদারির পাশাপাশি উত্তর প্রান্তের দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে হামলা চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে: নতুন সেনা প্রধান
এর আগে ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান পদ সামলেছেন তিনি। যে কমান্ডকে প্রায় ৪০০০-কিলোমিটার দীর্ঘ ইন্দো-চিন সীমান্ত পাহারা দিতে হয়। নতুন সেনাপ্রধান এদিন বলেন, দেশের উত্তর-পূর্ব সহ উত্তর সীমান্তের দিকে দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে চান তিনি।
তিনি এও বলেন, চিনের সঙ্গে সীমান্তরেখা নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে, তারও সমাধান করা দরকার। তবে তাঁর দাবি, সীমান্তপ্রদেশে শান্তি বজায় রাখার পথে অনেকটাই উন্নতি ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এবং তিনি নিশ্চিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও ভাল হবে। আর সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে পারলে স্থায়ী সমাধান ঘটানো সম্ভব হবে।
সিডিএস পদে বিপিন রাওয়াত, দেখে নেওয়া যাক তাঁর উর্দি
গত কয়েক বছরে অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখে চিনা সেনা বারবার হানা চালিয়েছে। ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারত ও চিন সেনা মুখোমুখি অবস্থান করে ১০ সপ্তাহ ধরে। ২৭০ জন ভারতীয় সেনা চিনের সীমান্তে প্রবেশ করে চিনা সড়ক নির্মাতাদের আটকাতে।
২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তরেখায় দু'দেশের সেনার মধ্যে উদ্ভুত উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে সমাধানের পথ চিহ্নিত করেন।
গত বছরের আগস্টে নারাবানে জানিয়েছিলেন, ডোকলামের ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা জোর করে প্রবেশ করেনি।