Coronavirus: আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের মেয়াদ (প্রতীকী চিত্র)
হাইলাইটস
- স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- প্রফুল্ল চাকীর পরিবারের মুখে অন্ন জোগানোর ব্যবস্থা করলেন তিনি
- লকডাউনের জেরে বেশ কিছুদিন অভুক্ত ছিলেন প্রফুল্ল চাকীর নাতনি
গঙ্গারামপুর, পশ্চিমবঙ্গ: একসময় দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রফুল্ল চাকী (Prafulla Chaki)। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে চলা লকডাউনের (Lockdown) জেরে বেশ কয়েকদিন অভুক্ত থাকতে হল ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারকে। তবে এই খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কানে যেতেই তৎপর হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ নিয়ে গঙ্গারামপুর থানার (West Bengal) অন্তর্বর্তী প্রফুল্ল চাকীর ভিটেয় পৌঁছন সরকারি আধিকারিকরা। তাঁর নাতনি মাধবী তালুকদারের হাতে তুলে দেন বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। জানা গেছে, লকডাউন শুরু হওয়ায় খাবার জুটছিল না দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা ওই পরিবারের। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবার পাশে দাঁড়ানোয় হাসি ফুটল শহিদের নাতনির মুখে। তাঁকে ভবিষ্যতেও সব ধরণের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন সরকারি আধিকারিকরা।
ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্যে তাঁর দাদু প্রফুল্ল চাকী যখন লড়ছিলেন সেই দিনগুলো আজও ভুলতে পারেননি বৃদ্ধা মাধবী তালুকদার। ১০ বছর বয়স থেকেই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আস্তানাগুলিতে অবাধ যাতায়াত ছিল তাঁর। তিনি নিজেও দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে লড়াই করেছিলেন।
ক্ষুদিরাম বসু আর প্রফুল্ল চাকী, ১৯০৮ সালে তৎকালীন মুজফফরপুর জেলার ব্রিটিশ জজ ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই কাজে তাঁরা সফল হতে পারেননি, সেই সময়েই ক্ষুদিরাম বসুকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দেয় ব্রিটিশরা। তবে ব্রিটিশদের হাতে ধরা দেননি প্রফুল্ল চাকী। গ্রেফতারির আগেই তিনি আত্মহত্যা করেন।
'হু' এর করোনা তহবিলে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
"শুধু আমার দাদু প্রফুল্ল চাকিই নন, আমিও স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিই, অথচ আমি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্যে বরাদ্দ পেনশন পাই না। লকডাউন জারি হওয়ায় এখন কবে ত্রাণ আসবে তার দিকে তাকিয়ে আমাকে বসে থাকতে হবে", সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন প্রফুল্ল চাকীর নাতনি।
"আমার গঙ্গারামপুরের একজন অবস্থাপন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে তাঁর মৃত্যুর পরে, আমরা সবকিছু হারিয়েছি এবং বহু বছর ধরে আমরা এখানে বাস করছি, কিন্তু কোনও সাহায্য পাইনি", বলেন তিনি।
করোনা ভাইরাস প্রাণ কাড়ল ৩৭৭ জনের, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার শিকার ৩৮, সংক্রমিত ১১,৪৩৯ জন
এই খবর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন স্বাধীনতাসংগ্রামীর ওই পরিবারের যাতে কোনও কষ্ট না হয় সে ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে। পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় প্রচুর ত্রাণসামগ্রীও।
যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাস বলেন যে তিনি মাধবী তালুকদারের এই দুর্দশার কথা জানতেন না। বর্তমানে জানতে পেরেছেন তিনি এবং ওই পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)