গাড়ির মধ্যেই বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ায় বান্ধবীকে খুন করেন ওই অভিযুক্ত। (প্রতীকী)
দুবাই: পাশে বান্ধবীর নিথর দেহ, সেই অবস্থাতেই দুবাই শহরে ৪৫ মিনিট গাড়ি ছোটাল এক ভারতীয় তরুণ। রক্তমাখা জামা পরেই নিকটবর্তী রেস্তোরাঁ থেকে কিনলেন খাবার এবং জল। এরপরেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, নিজের কৃতকর্মের সাজা পেতে আত্মসমর্পণ করবেন। যেমন চিন্তা, তেমন কর্ম! শহরের ডেরা এলাকার এক থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সেই তরুণ, পুলিশকে বলেন, "বান্ধবীর অন্য সম্পর্ক ছিল, তাই আমি তাঁকে গলা কেটে খুন করেছি। গাড়িতে মৃতদেহ রাখা!" সম্প্রতি এই মামলার শুনানি হয়েছে দুবাইয়ের এক আদালতে। সেই শুনানির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন হাড়হিম করা দাবি করেছে গালফ নিউজ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ডেরারই আল মুরাক্কাবাত থানায় দেহ সমেত গাড়ি ঢুকিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। প্রতিবেদনের দাবি, "দুবাইয়ের অপরাধের ইতিহাসে এই ধরণের ঘটনা বিরল। শুনানিতে তেমনটাই উল্লেখ করেছেন বিচারক।" জানা গিয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ের এই ঘটনাতে যারপরনাই বিস্মিত দুবাইয়ের পুলিশও।
"আমাকে 'হে হুজুর,' বা 'ইওর লর্ডশিপ' বলে ডাকবেন না: কেন বললেন বিচারপতি এস মুরলিধর
শুনানি চলাকালীন এই মামলার তদন্তকারী এক পুলিশ আদালতে বলেছেন, "আমি অভিযুক্তকে দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। ওর জামায় রক্ত লেগে ছিল। সন্ত্রস্ত অবস্থায় ও, আমাদের বলেছিল যে নিজের বান্ধবীকে খুন করেছে। এরপরেই আমরা ছুটে গিয়ে সেই গাড়ি পরীক্ষা করি। দেখেছিলাম গলাকাটা অবস্থায় সামনের আসনে পড়ে ওই তরুণীর নিথর দেহ। আর পিছনের আসনে রক্তমাখা ছুরি।" ওই পুলিশ আরও বলেন, "এরপর ওই ভারতীয় তরুণকে আমরা গ্রেফতার করি। প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পারি নিহত তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তর পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওই তরুণ জানতে পারেন তাঁর বান্ধবী অন্য সম্পর্কে লিপ্ত। সেই নিয়ে শুরু হয় বিতণ্ডা। এমনকি বান্ধবীর পরিবারকে ই-মেল করে অভিযুক্ত হুমকি দিয়েছিল, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হবে।" তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, খুনের দিনেও গাড়ির মধ্যেই বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন ওই তরুণ ও তাঁর বান্ধবী। এরপরেই ছুরি দিয়ে গলা কেটে তাঁকে খুন করা হয়ে। অভিযুক্তের বান্ধবীও ভারতীয়। আদালতে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
ইয়েস ব্যাংকের আর্থিক তছরুপের তদন্তে এবার অনিল আম্বানিকে তলব ইডির
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। দুবাই পুলিশ আদালতে অভিযুক্তকে সাজা দিতে মৃত্যুদণ্ডের সওয়াল করেছে।