This Article is From Sep 04, 2019

চিকিৎসকদের উপরে হামলায় কড়া আইন আনতে মোদিকে চিঠি চিকিৎসকদের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) একটি কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের জন্য আর্ইজি জানাল ন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ (IMA)

চিকিৎসকদের উপরে হামলায় কড়া আইন আনতে মোদিকে চিঠি চিকিৎসকদের

একটি অর্ডিন্যান্স পেশ করার কথাও জানানো হয় চিঠিতে

নয়াদিল্লি:

দেশের চিকিৎসক (Doctor) ও ডাক্তারি শিক্ষার ছাত্রদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ (IMA) চিঠি লিখল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। সেই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানানো হয়েছে একটি কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের জন্য। এই বিষয়ে একটি অর্ডিন্যান্স পেশ করার কথাও জানানো হয় চিঠিতে। অসমের চা বাগানে রোগীমৃত্যুর পর উন্মত্ত জনতার হাতে বর্ষীয়ান চিকিৎসকের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি লিখল আইএমএ। ওই চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ভয় ও হিংসার পরিবেশে চিকিৎসকদের পক্ষে সঠিক মানের পরিষেবা দেওয়া সম্ভবপর নয়। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত'-এও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

“হিন্দুবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে নেটফ্লিক্সের স্যাক্রেড গেমস, ঘাউল”: পুলিশে অভিযোগ শিবসেনা কর্মীর

আইএমএ-র সমর্থনে ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনও চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকেও। ভারতে চিকিৎসক ও চিকিৎসা-কর্মীদের উপরে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ বিষয়ে একটি বিলের খসড়াও তৈরি করেছে। চিকিৎসক ও চিকিৎসা-কর্মীদের উপরে হামলার ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ১০ বছরের জেল অথবা ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

তৃণমূল আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল, বললেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং

অসমে চিকিৎসক দেবেন দত্তর মৃত্যুর প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এক খোলা চিঠিতে লেখে, এই সংবাদে আমাদের গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রের মানুষদের উপরে ক্রমবর্ধমান হিংসাই প্রতিফলিত হয়েছে ওই ঘটনায়। বলা হয়, এর ফলে চিকিৎসকদের শারীরিক ও নৈতিক অখণ্ডতা বিঘ্নিত হচ্ছে।

৭৩ বছরের চিকিৎসক দেবেন দত্তকে প্রাণ দিতে হয় রোগীমৃত্যুর পর উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ জনতার হাতে। এস্টেট হাসপাতালে এক চা বাগানের এক কর্মীর মৃত্যু হয়। এরপরই ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা একজোট হয়ে আক্রমণ চালায় হাসপাতালে। তখনই তাদের হাতে প্রহৃত হন দেবেনবাবু। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করলেও জখম দেবেনবাবুকে বাঁচানো যায়নি।

আইএমএ তাদের চিঠিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্জি জানিয়েছে হাসপাতালগুলিকে সঠিক সুরক্ষা পরিকাঠামোর সাহায্যে নিরাপদ এলাকা বলে ঘোষণা করা হোক।

.