This Article is From Jun 01, 2019

৬ তারিখ কেরালায় ঢুকতে পারে বর্ষা, বাংলায় আরও পরে

সাধারণভাবে জুন মাসের প্রথম দিনেই ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরালায় প্রবেশ করে যায় বর্ষা। এবার তা হল না।

৬ তারিখ কেরালায় ঢুকতে পারে বর্ষা, বাংলায় আরও পরে

মৌসম ভবনের তরফের জানানো হয়েছিল এই মরসুমে স্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হবে।

হাইলাইটস

  • ৬ তারিখ কেরালায় ঢুকতে পারে বর্ষা, বাংলায় আরও পরে
  • সাধারণভাবে জুন মাসের প্রথম দিন ভারতের কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করে
  • কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে আরও অন্তত দিন পাঁচেক লেগে যাবে
নিউ দিল্লি:

9 মাস পড়ে গেল অথচ বর্ষার (Monsoon) দেখা নেই। সাধারণভাবে জুন মাসের প্রথম দিনেই ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরালায় (Kerala) প্রবেশ করে যায় বর্ষা (Monsoon)। এবার তা হল না। আবহাওয়া দপ্তর বলছে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করতে আরও অন্তত দিন পাঁচেক লেগে যাবে।  আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন ৬ তারিখ কেরালায় ঢুকবে বর্ষা। তারপর ধীরে ধীরে তা পশ্চিমবঙ্গ সহ  দেশের অন্য রাজ্যের দিকে এগোতে থাকবে। মৌসম ভবনের (IMD) কর্তা এন মহাপাত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে শনিবার বলেছেন এখন বর্ষা রেখা আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর আছে। আসতে আসতে তা বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের বিভিন্ন এলাকার উপর আধিপত্য বিস্তার করছে। এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও ২-৩ দিন সময় লেগে যাবে।  তারপরে কেরালার দিকে এগোতে থাকবে বর্ষা।

নাগপুরে এখনই ৪৪ ডিগ্রি! দেশের উষ্ণতম ১০ টি শহরের তালিকায় আপনার শহর নেই তো?

বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে মৌসম ভবনের তরফের জানানো হয়েছিল এই মরসুমে স্বাভাবিক পরিমাণে বৃষ্টি হবে। ৯৬ থেকে ১০৪ শতাংশের মধ্যে বৃষ্টিপাতকে আবহাওয়া দপ্তর স্বাভাবিক বলে ধরে। আর গত ৫০ বছরের গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৯ সেন্টিমিটার। ভারতের মতো কৃষি প্রধান দেশের জন্য বর্ষা অত্যন্ত জরুরি। সারা বছরে মোট যে বৃষ্টি হয় তার অন্তত ৭০ ভাগ হয়ে যায় এই বর্ষার কয়েকটা মাসেই। তারপর নিম্নচাপ বা অন্য কারণে বৃষ্টিপাত হয় ভারতে। কিন্তু বর্ষাকালে বৃষ্টি ঘাটতি হলে কৃষিকাজে ক্ষতি থেকে শুরু করে আরও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

কেমন দেখতে সর্বগ্রাসী কৃষ্ণ গহ্বর? প্রকাশ পেল মহাজাগতিক বিস্ময়ের প্রথম ছবি!

সবমিলিয়ে চাপ পড়ে ভারতের অর্থনীতির উপর। পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কিন্তু দেশের অন্য অংশে জন্য থাকছে গরমের পূর্বাভাস। রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে ভারতের বেশিরভাগ অংশ কার্যত গরমে পুড়ছে। দিল্লির পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আজ দিল্লিতে গরম এতটাই বেশি যে তাতে বিশেষ সর্তকতা জারি করতে হয়েছে ।দিল্লিসহ রাজধানী সংলগ্ন অন্যান্য জায়গাতেও তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। বস্তুত উত্তর ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজস্থান হরিয়ানার গরম অসহনীয় হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশে বাড়ছে গরম। ভারতের সমতল জায়গাগুলির মধ্যে এদিন সবচেয়ে বেশি গরম ছিল রাজস্থানের গঙ্গানগরে। দিনের একটা সময় তাপমাত্রা পৌঁছে দেয় ৪৯. ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর  থেকে মুক্তি পেতে ভারী বর্ষণ প্রয়োজন কিন্তু আবহাওয়া দপ্তর বলছে পিছিয়ে যাচ্ছে বর্ষা।

শুখা মরসুম ভারতে? ২০১৯ সালে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল স্কাইমেট

সাধারণত কেরালায় প্রবেশ করার এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা রেখা আসে। এবার তা হবে কিনা সেটাই এখন দেখার। মানে সব মিলিয়ে প্রবল গরম থেকে রেহাই মেলার  এখনই যে কোনও সম্ভাবনা নেই তা আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিল।   

.