এক হোটেলের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে চিৎকার, ‘‘করোনা, করোনা!'' (Coronavirus) সেই সঙ্গে মেঝেতেও ছিটিয়ে দেওয়া হল থুতু! এই অপরাধে দু'বছরের কারাবাস হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিঙ্গাপুরের (Singapore) এক ব্যক্তির। চাঙ্গি বিমানবন্দরের এক হোটেলে এমন কাণ্ড করেই বৃহস্পতিবার সাজা পেলেন তিনি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর এই ধরনের কাজে প্রথম বার কাউকে গ্রেফতার করা হল এখানে। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে তেমনই জানা যাচ্ছে। আটক ব্যক্তির নাম জসবিন্দর সিংহ মেহার সিংহ। তাঁর বয়স ৫২। গত ৩ মার্চ তিনি এই কাণ্ড করেছিলেন। ‘স্ট্রেট টাইমস'-এর প্রতিবেদন থেকে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
জসবিন্দর ক্রাউন প্লাজা নামের ওই হোটোলের ফ্লোরে একটি প্লেটও আছড়ে ভাঙেন আজুর রেস্তোরাঁর সামনে। ওই রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গিয়েছে এটা জানার পরই তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন।
আত্মগোপন করে থাকা মৌলানা সাদের অডিও বার্তা প্রকাশ্যে
কেবল প্লেট ভেঙেই শান্তি হয়নি তাঁর। তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন ‘‘করোনা, করোনা!''
জসবিন্দরকে অতিরিক্ত ৫৫ দিন গারদের পিছনে থাকতে হবে। আসলে এর আগে জসবিন্দরকে জেলে যেতে হয়েছিল বছরের গোড়ায়। গত ফেব্রুয়ারিতে জেল থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে ছাড়া পাওয়ার সময় তিনি একটি মকুবের অর্ডার লঙ্ঘন করেন।
তাঁকে জানুয়ারিতে জেলে পাঠানো হয়েছিল। এরপর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু একটি শর্ত ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও অপরাধে জড়িয়ে পড়া যাবে না।
কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা তাবলিগ সদস্য চিকিৎসকের সামনেই ছেটালেন থুথু !
৩ মার্চ সকাল সাড়ে দশটার সময় তিনি ওই রেস্তোরাঁয় যান। এবং সেখানকার কর্মীদের না জানিয়ে খাবার পরিবেশনের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন প্লেট হাতে। কিন্তু এরপরই এক বেয়ারা তাঁকে জানান, রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখনই জসবিন্দর প্লেট ভেঙে দেন। হোটেলের ম্যানেজার তাঁকে লবিতে নিয়ে গিয়ে হোটেলে সিকিউরিটি ম্যানেজারকে ফোন করেন।
কিন্তু এরপরই জসবিন্দর সেখান থেকে সরে পড়েন। আবারও রেস্তোরাঁয় ফিরে যান। জসবিন্দর জানান, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আরও প্লেট ভাঙা। এরপরই তিনি ‘‘করোনা, করোনা'' বলে চিৎকার করেন।
এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অবশেষে সাজা ঘোষণা হল আজ।