This Article is From Jan 29, 2020

Coronavirus: "খাবার ও জল শেষ হয়ে যাচ্ছে", চিনে আটক ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক

Coronavirus In China: গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন উহান, সেখানেই আটকে রয়েছেন ৮ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী, ভারত সরকারের প্রতি সাহায্যের আবেদন তাঁদের

Coronavirus:

Coronavirus Outbreak: এই মারণ ভাইরাসের কারণে চিনে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চিনের উহান যেন একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ
  • সেই উহানেই আটকে পড়েছেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা
  • উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনোর জন্যে সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা
নয়া দিল্লি:

মারাত্মক করোনা ভাইরাসে (Coronavirus In China) আক্রান্ত চিন, এই মারণ রোগের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গেছে সে দেশের উহানে। আর বর্তমানে সেই উহানেই আটকে পড়েছেন ৮ ভারতীয় পড়ুয়া। উহান বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়াশুনো করতেন তাঁরা (Indian Students In China)। কিন্তু এই মুহূর্তে উহানকে গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে যাতে সেখান থেকে ওই মারণ ভাইরাস (Coronavirus) বাকি দুনিয়ায় ছড়িয়ে না পড়ে। আর সেই কারণেই স্বাভাবিক জনজীবন থেকে একেবারে আলাদা হয়ে সেখানে আটকে পড়েছেন ওই ৮ ভারতীয় ছাত্রও। ক্রমশই উহানে কমছে খাদ্য ও জলের জোগান, ফলে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের (Indian Students In Wuhan) সেখান থেকে উদ্ধারে তৎপর হোক ভারত সরকার, এই কাতর আবেদন জানালেন তাঁরা। চিনের উহান শহরটিতেই  সবচেয়ে বেশি মানুষ মারাত্মক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

চিনে ভারতীয় দূতাবাস আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্ভাব্য সবরকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও যে হারে উহান শহরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা উদ্বেগে রয়েছেন।

Coronavirus: মারণ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কী ? জানালেন বিশিষ্ট ভাইরোলোজিস্ট ডঃ অমিতাভ নন্দী

আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও। এছাড়াও অসম, দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ছাত্ররাও আটকে আছেন চিনের উহানে।

উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে মেটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পাঠরত অসমের বছর বাইশের এক শিক্ষার্থী গৌরব নাথ ফোনে সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে সেখানে দোকান ও পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় তাঁরা রীতিমতো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন।

"শহরে করোনা ভাইরাস দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ায় আমাদের ঘরের ভিতরেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আমরা কয়েকদিন ধরে আমাদের ছাত্রাবাসে আটকে আছি। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য আমাদের শুধু দিনে একবার মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের জন্যে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখানে প্রায় সমস্ত দোকানই বন্ধ রয়েছে, বন্ধ শহরের পরিবহণ ব্যবস্থাও। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা ভয় পাচ্ছি, যে কোনও দিন আমাদের কাছে থাকা সব খাবার ও জল শেষ হয়ে যাবে", বলেন ওই ছাত্র।

Coronavirus: কলকাতায় করোনা? হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু ঘিরে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক!

তিনি আরও বলেন, "চিনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস থেকে আমাদের উদ্ধার করার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। তবু আমরা ভারত সরকারকে দ্রুত আমাদের এখান থেকে উদ্ধার করার জন্য আবেদন করছি" ।

করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব থেকেই যেন একেবারে আলাদা করে রাখা হয়েছে চিনের উহান শহরকে। চিনে এই সংক্রামক ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬। মঙ্গলবার চিনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে সে দেশের ৩০ জায়গায় কমপক্ষে ৪,৫১৫ জনের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

এই মারণ ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বেই, আতঙ্কে ভুগছে ভারতও। প্রাণঘাতী এই চিনা ভাইরাসের ব্যাপারে তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই দিল্লি ও মুম্বই সহ বিভিন্ন শহরের নানা হাসপাতালে একটি করে বিশেষ ওয়ার্ডে এক ডজনেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

.