This Article is From May 22, 2018

ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোতলার হত্যাকারী বিদ্বেষমূলক খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত

কথা কাটাকাটির মধ্যেই কুচিভোতলাকে সন্ত্রাসবাদী অ্যাখা দিয়ে তাঁর বুকে আঘাত করে

ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোতলার হত্যাকারী বিদ্বেষমূলক খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত

2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুলি করা হয় শ্রীনিবাস কুচিভোতলাকে

ওয়াশিংটন: গত বছর কানসাস সিটির এক পানশালায় ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শ্রীনিবাস কুচিভোতলাকে হত্যা এবং আরও দুজনকে আহত করার অপরাধে মার্কিন নৌ-বাহিনীর এক কর্মীকে খুন এবং আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার অপরাধে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করা হল।
অ্যাডাম পুরিন্টন স্বীকার করেছে, 2017 সালের ফেব্রুয়ারিতে ওলাথের অস্টিন্স বার অ্যান্ড গ্রিলে কুচিভোলার সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পর সে তাকে এবং আরেকজন ভারতীয় অলোক মাদাসানিকে গুলি করে। ঘটনাটি ঘটার পরে কুচিভোলার মৃত্যু হয়।
পুরিন্টন খুনের দায়ে আপাতত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করছে।
তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আওতার মধ্যে থাকা সর্বোচ্চ শাস্তিটি দেওয়া হয়েছে। কোনও প্যারোলও পাবে না সে।
এই ঘটনাটি অ্যাডাম পুরিন্টন ঘটিয়েছিল জাতিগত, ধর্মগত এবং বর্ণগত বিদ্বেষ থেকে। জানান ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেসি পানুচিও।
“এটা একটি বিদ্বেষমূলক হত্যা। যে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে নিহতের পরিবার, তা তো আমরা কখনও পূরণ করতে পারব না, তবে, আশা করব, এই শাস্তি ঘোষণার খবর শোনার পর তাঁরাও একটু শান্তি পাবেন। এই শাস্তির ফলে গোটা দেশে এই বার্তাটিও ছড়িয়ে দেওয়া হল সুচারুভাবে, যে, এই দেশের মাটিতে কোনও বিদ্বেষমূলক কার্যকলাপই কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না”। বলেন পানুচিও।
ঘটনাটি ঘটার কয়েক সপ্তাহ আগে শ্রীনিবাস কুচিভোতলা এবং তার বন্ধু মাদাসানি অস্টিন বারে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের দেখে পুরিন্টন বেয়ারাকে জিঞ্জাসা করে, “বাইরে বসে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের দেখলে”?
বেয়ারা তাকে জানায়, ওই দুজন ভারতীয় এবং তাঁরা সন্ত্রাসবাদী নন।
2017 সালের 22 ফেব্রুয়ারি, নিজেদের কাজ সমাপ্ত করে ওই দুই বন্ধু আবার ওই পানশালাতে যান। ওই সময় পুরিন্টন তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করতে আরম্ভ করে।
সে জানতে চায়, তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন এবং কথা কাটাকাটির মধ্যেই কুচিভোতলাকে সন্ত্রাসবাদী অ্যাখা দিয়ে তাঁর বুকে আঘাত করে।
তারপর চিৎকার করে বলে, “আমার দেশ থেকে বেরিয়ে যা”!               
ওই সময় বারের বেয়ারারা তাকে বেরিয়ে যেতে বলে বারটি থেকে। বারের কর্মীদের দিয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়।
অ্যাডাম পুরিন্টন নিজের বাড়ি গিয়ে পোশাক বদলে 9 এমএম সেমি-অটোমেটিক বন্দুক নিয়ে আবার বারে ফিরে আসে।
মুখোশে ঢাকা ছিল তার মুখ ওই সময়ে। বারে ঢুকে দুই ভারতীয়কে লক্ষ্য করে আটটা গুলি ছোঁড়ে সে। কুচিভোতলার শরীরে অন্তত চারটি গুলি বিঁধে যায়। মাদাসানির পায়ে গুলি লেগেছিল।

(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.