This Article is From Jan 17, 2020

সামরিক বাহিনী প্রয়োগ করে নয়, দ্বন্দ্ব দূর করতে ভারত আলোচনায় বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

দ্বন্দ্ব দূর করতে ভারত আলোচনায় বিশ্বাসী। সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে দ্বন্দ্ব মেটায়নি ভারত। বৃহস্পতিবার এমন দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সামরিক বাহিনী প্রয়োগ করে নয়, দ্বন্দ্ব দূর করতে ভারত আলোচনায় বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেছেন, বিবিধ ভাষা, সংস্কৃতি, অভ্যাস বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও শতকের পর শতক ধরে আমরা শান্তিতে বাস করছি। বিশ্বকে আমাদের মাটিতে স্বাগত জানাচ্ছি।

হাইলাইটস

  • 'সামরিক বাহিনী প্রয়োগে না, দ্বন্দ্ব মেটাতে ভারত আলোচনায় বিশ্বাসী'
  • বৃহস্পতিবার এ কথাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
  • আইআইএম-কোঝিকোড়ের একটা অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখেন তিনি
নয়াদিল্লি:

দ্বন্দ্ব দূর করতে ভারত আলোচনায় বিশ্বাসী। সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে দ্বন্দ্ব মেটায়নি ভারত। বৃহস্পতিবার এমন দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদি। আইআইএম-কোঝিকোড়ের (IIM-Kozhikode) একটা অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে 'গ্লোবালাইসিং ইন্ডিয়ান থট' নামক সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেছেন, ভারতীয় সভ্যতা শান্তি ও সম্প্রীতির উপর দাঁড়িয়ে (Civilisation)। তিনি যোগ করেন, 'যখন আশপাশের পরিবেশ খোলামেলা, তখন উদ্ভাবন আর মতবিরোধ স্বাভাবিক ভাবেই আসবে। ভারতের উদ্ভাবনী ক্ষমতা গোটা বিশ্বের কাছে নিদর্শন। তাই এদেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের জন্য ভারতের প্রতি আরও বেশি করে আকৃষ্ট হচ্ছে বিশ্ব (Globe)।' তিনি বলেছেন (Narednra Modi), বিবিধ ভাষা, সংস্কৃতি, অভ্যাস বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও শতকের পর শতক ধরে আমরা (India) শান্তিতে বাস করছি। বিশ্বকে আমাদের মাটিতে স্বাগত জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা আমাদের সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। অন্যরা তা পারেনি। কেন? এদিন এ প্রশ্নও তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। 

তিনি জবাব দেন, 'কারণ সবাই এখানে শান্তি আর সম্প্রীতি খুঁজতে পায়।' এমনকী সব জাতি, ভাষা, ধর্মের বিকাশে এদেশ কোনওদিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সর্বদা নমনীয় ভাব দেখিয়েছে, বৃহস্পতিবার দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব শান্তির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাষ্ট্র সংঘের 'শান্তি রক্ষা' প্রস্তাবে ভারতের অবদান প্রচুর। যুদ্ধদীর্ণ কোনও অঞ্চলে যদি একটু বাঁচার শ্বাস ঢোকে, তার পিছনেও আমাদের বাহিনীর হাত আছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, ভারত বিশ্বাস করে, তার প্রগতি মানে বিশ্বের প্রগতি। আর বিশ্ব যখন প্রগতিশীল হয় তখন লাভবান হয় ভারতই।পাশাপাশি তার সরকারের কাজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, মুদ্রা প্রকল্প আর আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বেশ জনপ্রিয়। 

এমনকী, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'দেখুন ভোটের সময় কত লোক নিরাপদে, শান্তিতে ভোট দেন. যে বুথের জন্য একটাই ভোটার, সেখানেও ভোট গ্রহণ হয়। তাই বিস্ময়ের কোনও জায়গা নেই, বিশ্বে ভারতের অবস্থান ধীরে ধীরে ইতিবাচক হচ্ছে। এদিন তিনি রিমোটে ওই ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিও উন্মোচন করেছেন।    
 

.