This Article is From Apr 26, 2020

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আমলের ব্রিটিশ আর্কাইভে জ্বলজ্বল করছে ভারতীয় পাইলটের কীর্তি

প্রায় ৩ বছর অপেক্ষার পর সেই পাইলটের পরিবার জানতে পেরেছিল তাঁর মৃত্যুর কথা। এবং তাঁর সমাধির কথা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আমলের ব্রিটিশ আর্কাইভে জ্বলজ্বল করছে ভারতীয় পাইলটের কীর্তি

প্রায় ৩ বছর অপেক্ষার পর ওয়েলিনকার পরিবার জানতে পেরেছিল স্বজনহারার খবর।

প্রায় ৩ বছর পরিবার জানত না লেফটান্যান্ট কেসি ওয়েলিনকর কোথায়! যুদ্ধ বিমানের পাইলট হিসেবে আকাশে চক্কর কাটতে বেড়িয়ে তাঁর কী পরিণতি হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যখন খোঁজ মিলেছিল সেই যুদ্ধ বিমান পাইলটের তখন অনেক দেরি! কবরে শায়িত ছিল তাঁর দেহ। প্রায় ১০০ বছর পর আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন একদা বম্বের (Then Bombay) এই বীর সেনানী। সম্প্রতি  গ্রেট ব্রিটেনের কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রাভস কমিটি (সিডব্লুজিসি) একটা গোপন ফাইল প্রকাশ্যে এনেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (WW-I) আমলের সেই নথি সম্বলিত ফাইলে একাধিক চিঠি, ছবি-সহ অন্য দস্তাবেজ রয়েছে। এমন অনেক চিঠি আছে, যা যুদ্ধে শহিদ পরিবার ও কমিশনের মধ্যে চালচালি করা হয়েছিল। সেই প্রকাশিত গোপন ফাইলেই এখন জ্বলজ্বল করছেন ব্রিটিশ ভারতের প্রয়াত লেফটান্যান্ট কেসি ওয়েলিনকর । একশো বছরের পুরনো সেই দলিল ও দস্তাবেজ আপাতত ডিজিটাইজড রূপ নিয়ে কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রাভস কমিটির আর্কাইভে স্থান পেয়েছে। 

অনুপস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যকর্তাদের বরখাস্ত করতে মেয়রের দ্বারস্থ পুরসভা

জানা গিয়েছে, অনেক বৈষম্য ও প্রতিবন্ধকতা জয় করে পাইলট হয়েছিলেন তৎকালীন বম্বের এই বীর সন্তান। জুন ১৯১৮-তে শেষবার তাঁকে ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের ওপর দিয়ে আকাশে চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ ছিল না তাঁর। 

প্রায় ৩ বছর অপেক্ষার পর সেই পাইলটের পরিবার জানতে পেরেছিল তাঁর মৃত্যুর কথা। এবং তাঁর সমাধির কথা। সিডব্লুজিসি'র মুখ্য সংরক্ষক অ্যান্ড্রু ফিদারস্টন বলেছেন, "প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যারা শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। স্বজনহারার বেদনা নিয়ে লেখা সে সব প্রশ্নসম্বলিত চিঠি আমাদের মনে হয়েছিল সংরক্ষণ করা উচিত। কেমন ভাবে সেই পরিবারগুলো নিজেদের সান্ত্বনা দিয়েছিল, তা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার বিষয়।" 

.