হু কর্তা দাবি করেছেন লকডাউন উঠলেই ভারতে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত বাড়বে সংক্রমণ মাত্রা।
নয়া দিল্লি: জুলাই শেষে সর্বাধিক মাত্রায় সংক্রমণ (Covid-19 rate) পরিলক্ষিত হবে ভারতে। তারপর ধীরে ধীরে প্রকোপ কমবে করোনার। শুক্রবার এনডিটিভিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন হু-কর্তা (WHO Envoy on India) ডা. ডেভিড নাবারো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বিশেষ করোনা দূত হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে এই চিকিৎসককে। শুক্রবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "লকডাউন উঠলেই সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সংক্রমণের ঘটনা বাড়বেই, তারপর ফিরবে স্থিতাবস্থা।" তাঁর মত, "লকডাউন উঠলে ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণের হার বাড়বে। তারপর কমবে প্রকোপ। অন্তত জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত থাকবে ব্যাপক হারে থাকবে সংক্রমণ।" কেন্দ্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে নেওয়া দ্রুত লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, "সময়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়াতে ভারতে সংক্রমণ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে। লকডাউন লাগু হওয়াতে ভাইরাসকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বন্দি করা গিয়ছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, দিল্লিতে সংক্রমণ বেশি। আর পরিসংখ্যান বলছে নগর জীবন বেশি প্রভাবিত।"
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে পর্যাপ্ত ট্রেনের ব্যবস্থা না করে "অবিচার" করছেন মমতা: অমিত শাহ
তাঁর দাবি, "ভারত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে। ভারতের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ খুব কষ্টসাধ্য। লকডাউনে অবশ্যই সংক্রমণ ধীর গতি পেয়েছে। আপনাদের ১১ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে সংক্রমণ।"
কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে করোনা, মৃত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ান
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩,৩২০ জনের শরীরে বাসা বাঁধলো করোনা ভাইরাস। সব মিলিয়ে ভারতে এখন করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৬০,০০০ ছুঁইছুঁই। গত একদিনের মধ্যেই অত্যন্ত সংক্রামক ওই রোগে আরও ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সারা দেশে মারা গেছে মোট ১,৯৮১ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ৫৯,৬৬২ জন। তবে চিকিৎসা সহায়তায় সুস্থও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ, মোট সুস্থতার সংখ্য়া ১৭,৮৪৭। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে করোনা ভাইরাসের কবলে পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্য়াও ক্রমশ বাড়ছে।গত রবিবারও যেখানে সুস্থ হয়েছেন ২৬.৫৯ শতাংশ মানুষ সেখানে আজ (শনিবার) ওই রোগ থেকে পুনরুদ্ধার হার বেড়ে ২৯.৯১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।