ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেশি দ্বীপপুঞ্জে ভয়াবহ সুনামিতে মৃতের সংখ্যা 834
জাকার্তা: ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেশি দ্বীপপুঞ্জে ভয়াবহ সুনামিতে মৃতের সংখ্যা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়েছে (Indonesia Tsunami )832-এ। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত জনজীবন। শুরু হয়েছে তুমুল খাদ্যসংকটও। তার সঙ্গেই চলছে অবাধ লুঠতরাজ।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নতুন যে পরিসংখ্যান দিয়েছে মৃত্যুর, তা গতকালের দ্বিগুণ। ইন্দোনেশিয়ার উপরাষ্ট্রপতি জুসুফ কাল্লা বলেন, মৃতদের চূড়ান্ত সংখ্যাটি 'হাজার' ছাড়াবে। তার কারণ সুনামিতে বিপর্যস্ত এমন বহু এলাকা এখনও রয়ে গিয়েছে, যেখানে পৌঁছতেই পারেনি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
"চারদিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি", বললেন রিসা কুসুমা। সুনামি-বিধ্বস্ত পালুর একটি শরণার্থী শিবিরে আরও কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গেই নিজের শিশুপুত্রটিকে নিয়ে রয়েছেন তিনিও। তিনি আরও বলেন, "প্রতি মুহূর্তেই অ্যাম্বুলেন্স আসছে নতুন কয়েকটা মৃতদেহ নিয়ে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। জল নেই। খাবার নেই। অবাধে লুঠতরাজ চলছে ছোট মার্কেটগুলোতে"।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রের খুব সামনে জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল ডোঙ্গালা সুনামির কোপে পড়ে প্রায় মুছে গিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় খবরের চ্যানেল মেট্রো টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওখানকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সুনামি আসছে বুঝতে পেরেই আমরা উপরের দিকে উঠে গিয়েছিলাম। তবুও, বিপর্যয় সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে সেনা বাহিনী। আগে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকাজ চালানো সংস্থার প্রধান মহম্মদ স্যাগুই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান আমরা শিশুদের উদ্ধার করতে বেশি জোর দিচ্ছি। কারণ সুনামি স্রোতে তাঁদেরই বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি। এই ঘটনায় গোটা শহরটাই প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছে। বিমান বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে বহু রাস্তা। একটি শপিং মলের ছবি দেখা গিয়েছে, তাতেও স্পষ্ট ধ্বংসের ছাপ। দেখা গিয়েছে একটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া বিশাল মসজিদও। প্রথমে একটি জোরালো ভূমিকম্প হয়। পরে আরও কয়েকবার ভূমি কেঁপে ওঠে।