This Article is From May 28, 2020

রাত পেরিয়ে ভোর! শহর ঘুরে অমিল চিকিৎসা, বাবার কোলেই মৃত্যু নবজাতকের

জানা গিয়েছে, এরপরেই গৌতমবুদ্ধ নগরের মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তা দীপক আহেরি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দুই সদস্যের কমিটি গড়েছেন

রাত পেরিয়ে ভোর! শহর ঘুরে অমিল চিকিৎসা, বাবার কোলেই মৃত্যু নবজাতকের

বাবার কোলেই মৃত্যু হয় সেই নবজাতকের!

হাইলাইটস

  • উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার মর্মান্তিক ঘটনা
  • চিকিৎসা না পেয়ে বাবার কোলেই মৃত্যু নবজাতকের
  • সোশাল মাধ্যমে বিহিত চেয়ে দরবার বাবার
গ্রেটার নয়ডা:

রাত থেকে মধ্য রাত পার করে প্রায় ভোর, ৭-৮ ঘণ্টা গ্রেটার নয়ডা ও নয়ডার নানা হাসপাতালে ঘুরে অমিল চিকিৎসা।ফলে চিকিৎসা না পেয়ে বাবার কোলেই মৃত্যু হল রুগ্ন নবজাতকের (Ill infant dies)। গ্রেটার নয়ডার (Greater Noida) সেক্টর ৩৬-এর এই ঘটনা ঘিরে সোশাল মাধ্যমে এখন ছিঃ ছিঃ রব। চিকিৎসা পরিকাঠামোর (Lacking of Medical Facility) অভাব এবং গাফিলতির দায়ে সরব নাগরিক সমাজ। অবশেষে চাপে পড়ে উত্তর প্রদেশের (UP CMOH) স্বাস্থ্য দফতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। গৌতম বুদ্ধ নগরের মুখ্য স্বাস্থ্য কর্তার তদারকিতে গঠন করেছে বিশেষ কমিটি। জানা গিয়েছে, মৃত ওই নবজাতকের বাবা রাজকুমার ইতিমধ্যে ন্যায়ের দাবিতে সোশাল মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুরু করেছেন চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে তুলে প্রচার। সংবাদ মাধ্যমকে স্থানীয় এক কারখানার কর্মী রাজকুমার বলেছেন, "বুধবার কৃষ্ণা লাইফলাইন হসপিটালে রাত ১০ টা  নাগাদ আমার স্ত্রী এক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই হাসপাতালে ভেন্টিলেটর না থাকায় সদ্যোজাতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর রুগ্ন সেই সদ্যজাতকে নিয়ে আমি পাশেরর গ্রিন সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসা খরচ অত্যাধিক থাকায় আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাব। যেহেতু সেই হাসপাতাল একটু দূরে তাই আমি অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করি।"

তাঁর অভিযোগ, "সেই ফোনের প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্স আসলে আমি ওকে দাদরি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে শিশু চিকিৎসক ছিলেন না। যারা রাতের ডিউটিতে ছিলেন তারাও ঘুমাচ্ছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে আমি বাদলপুর  স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে সেখানেও একই অবস্থা।" জানা গিয়েছে, এভাবেই গোটা রাত কেটে গেলে নয়ডার একটি সরকারি হাসপাতালে ব্যবস্থা হলে ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে সেই নবজাতকের। সেই অবস্থাতেই নিজের বাইকে সন্তানের নিথর দেহ নয়ডা থেকে গ্রেটার নয়ডা এনে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করেন রাজকুমার। 

চিকিৎসার এমন গাফিলতি ও পরিকাঠামোগত সমস্যা বিষয়ে জানতে কৃষ্ণা লাইফলাইন আর গ্রিন সিটি হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে ওদের তরফে কোনও জবাব মেলেনি। উত্তর প্রদেশ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরাও কোনও মন্তব্য করতে চাইনি। এরপর গোটা বিষয় নিয়ে নাগরিক সমাজে চর্চা শুরু হলে তদন্তের জন্য বিশেষ দল সরকারি তরফে গঠন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, এরপরেই গৌতমবুদ্ধ নগরের মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তা দীপক আহেরি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দুই সদস্যের কমিটি গড়েছেন। স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ গিয়ে শোকসন্তপ্ত ওই পরিবারের অভিযোগ দায়ের করেছে। শুরু হয়েছে প্রাথমিক তদন্ত। তবে এই মৃত্যুর দায় কার?  স্বাস্থ্য দফতর ও নার্সিংহোমের তরফে এই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

ভিডিও: কলকাতায় শিশু জন্মের পর মায়ের মৃত্যু! ক্রুদ্ধ স্বামীর হাতে নিগৃহীত চিকিৎসক 

.